Logo
শিরোনাম

পাঁচ বছরেই সেরাদের তালিকায় এনআরবিসি ব্যাংক

প্রকাশিত:বুধবার ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ নভেম্বর ২০২৩ | ৭৮০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

ব্যাংকিংখাতে নিত্যনতুন সেবা প্রচলনের অন্যতম দিশারী এনআরবিসি ব্যাংক। তথ্য প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার করে এনআরবিসি ব্যাংক গ্রাম-বাংলার প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদের ভাগ্যোন্নয়নে অর্থায়ন করে যাচ্ছে। এজন্য এনআরবিসি ব্যাংকই প্রথম সব সুবিধা নিয়ে স্বল্প পরিসারে উপশাখা ব্যাংকিং চালু করেছে।

ব্যাংকিং সেবাবঞ্চিত মানুষদের কর্মসংস্থানে সহজশর্তে বিতরণ করছে ক্ষুদ্রঋণ। চেকবই ও এটিএম কার্ড ছাড়াই লেনদেন করতে দেশের ইতিহাস সর্বপ্রথম কিউআর কোড চালু করেছে এনআরবিসি ব্যাংক। লেনদেনের এই সহজ পদ্ধতি ছাড়াও প্লানেট অ্যাপের মাধ্যমে মিলছে সবধরনের ব্যাংকিং সেবা। নিত্যনতুন সেবার উদ্ভাবনে এনআরবিসি ব্যাংক পেয়েছে এশিয়ার সেরা ব্যাংকের স্বীকৃতিও। সেরা ডিলার হিসেবে পুরস্কার দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অনলাইনে এসিএস চালানের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব সংগ্রহে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথম হওয়ার বিশেষ স্বীকৃতিও পেয়েছে এনআরবিসি ব্যাংক। এনআরবিসি ব্যাংকের ঈর্ষনীয় এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে বিগত ৫ বছরে। এনআরবিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে এসএম পারভেজ তমালের নেতৃত্বে নতুন পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব গ্রহণ করে ২০১৭ সালের ১১ ডিসেম্বর। এরপর থেকে সব সূচকেই দ্রুত এগোচ্ছে এনআরবিসি ব্যাংক।

২০১৩ সালের ২ এপ্রিল যাত্রা শুরু করে এনআরবিসি ব্যাংক। শুরুতে ঋণ সংক্রান্ত অনিয়মসহ বিভিন্ন কারণে হোঁচট খায়। ব্যাংকের তৎকালীন চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকে সরিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১৭ সালের ১০  ডিসেম্বর পরিচালনা পর্ষদের সভায় নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এসএম পারভেজ তমাল। তার নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদ দায়িত্ব পালন শুরু করেন ওই বছরের ১১ ডিসেম্বর থেকে। পর্ষদ পূনর্গঠনের ৫ বছর  ইতোমধ্যে অতিক্রান্ত হয়েছে। সেই সংকটাপন্ন অবস্থা থেকে ব্যাংকটি এখন বিভিন্ন সূচকের উন্নয়নে মাইলফলক।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমাল বলেন, আমরা একটা প্রেক্ষাপটে এই ব্যাংকের দায়িত্ব গ্রহণ করি। ব্যাংটিকে টেনে তোলা খুব সহজ ছিলনা। কিন্তু আমরা প্রবাসীরা আমাদের বিদেশের অভিজ্ঞতাকে কাজে  লাগিয়ে ব্যাংকটিকে পরিচালনা করছি। আমরা চেয়েছি আমাদের ব্যাংকের মাধ্যমে একেবারে নিম্ন পর্যায়ের প্রান্তিক মানুষেরা সেবা পাক। ঘরে বসেই তাদের কর্মসংস্থান হোক, তারাই নতুন উদ্যোগ গড়ে তুলে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করুক। এই লক্ষ্যে এনআরবিসি ব্যাংক চালু করেছে উপশাখা ও বিশেষ ক্ষুদ্র ঋণ প্রকল্প। সরকারি সেবা সহজীকরণে বুথ স্থাপন ও নতুন প্রযুক্তি চালু করা হয়েছে। এই সেবা নিয়ে আমরা অনেকটাই সফল হয়েছি। এজন্য এশিয়ার সেরা ব্যাংক হিসেবে পুরস্কার পেয়েছি। আমরা মানুষের কল্যাণে আরও বহুদূর যেতে চাই।

ব্যাংকটির বিভিন্ন সূচক পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০১৭ সালের পর দুটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হচ্ছে উপশাখা চালু করা এবং ক্ষুদ্রঋণ প্রদান। ইতোমধ্যে ব্যাংকটি সারাদেশে ৬৫০টি উপশাখা করেছে। এখন পর্যন্ত শাখা রয়েছে ৯৪টি। আগামী সপ্তাহে ১০০তম শাখা উদ্বোধন করতে যাচ্ছে ব্যাংকটি। এর বাইরে রয়েছে ভূমি রেজিস্ট্রেশন অফিস এবং বিআরটিএ অফিসগুলোতে বুথ। এ ছাড়া প্রায় সাড়ে ৫৫০ এজেন্ট পয়েন্ট রয়েছে। এসব জায়গায় ৬ হাজার ব্যাংকার কাজ করছেন। প্রান্তিক মানুষের জন্য স্বল্প সুদে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করছে।

ইতোমধ্যে ৪৮ হাজার গ্রাহককে সর্বমোট ২ হাজার কোটি টাকা ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া হয়েছে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষিত যুবকদের উদ্যোক্তাদের গড়ে তুলতে স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুবদেরকে এনআরবিসি ব্যাংক ঋণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। সব মানুষদের সেবার আওতায় আনতে ইসলামিক ব্যাংকিং আল আমিন চালু করা হয়েছে। গ্রাহকদের সহজে সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে চালু করেছে প্লানেট অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমে নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা, ঋণ আবেদন, টাকা স্থানান্তর, বিভিন্ন বিল পরিশোধ এবং চেক ও কার্ড ছাড়াই টাকা উত্তোলন করা যাচ্ছে। নতুন নতুন সেবার উদ্ভাবন ও প্রসাারে এনআরবিসি ব্যাংক ৬টি ক্যাটাগরিতে এশিয়ার সেরা ব্যাংক হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে একাধিকবার।

বিগত ৫ বছরের এনআরবিসি ব্যাংক আর্থিক ভিত্তি শক্তিশালী হয়েছে। ব্যাংকের পরিশোধিত মুলধন ২০১৭ সালে ছিল ৭৩৭ কোটি টাকা এখন তা বেড়ে হয়েছে ৭৯২ কোটি টাকা। ২০১৭ ব্যালান্সশিটের আকার ছিল ৭ হাজার ৪১২ কোটি টাকা। ৫ বছরে আড়াই গুণ বেড়ে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৬৫৮ কোটি টাকা। ২০১৭ সালে আমানতের পরিমান ৪ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা। প্রায় তিনগুণ বেড়ে চলতি বছরের নভেম্বর পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। ঋণের পরিমান  ৪ হাজার ৩০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩ হাজার ১০৭ কোটি টাকা।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচাল (এমডি) অ্যান্ড সিইও গোলাম আউলিয়া বলেন, করোনাভাইরাস, যুদ্ধবিগ্রহ ও  বৈশ্বিক পরিস্থিতি অর্থনীতির অনুকুলে নেই। এরমধ্যেও তুলনামূলকভাবে এনআরবিসি ব্যাংক ভালো করছে। এর অন্যতম কারণ আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ক্ষুদ্র ঋণের মাধ্যমে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করছি, কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে এবং মানুষের কাছে গিয়ে সেবা দিচ্ছি। এতে মানুষ আমাদের উপর আস্থা রেখেছে। এজন্য আমানত সংগ্রহ, ঋণ বিতরণ, মুনাফাসহ সব সূচকে এনআরবিসি ব্যাংক দ্রুত এগোচ্ছে।

নিউজ ট্যাগ: এনআরবিসি ব্যাংক

আরও খবর

এলপিজির দাম আরও বাড়ল

বৃহস্পতিবার ০২ নভেম্বর 2০২3




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর