দেশের স্বপ্নের সেতুর পিলারে প্রথমবার
ধাক্কা লাগার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি সেতুর নিচ দিয়ে ফেরি চলাচল বন্ধের সুপারিশ করেছিল।
তারা বলেছে এ জন্য ঘাট স্থানান্তর করা দরকার। ওই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর আরও তিনবার
ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটল।
আবার পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা।
এ নিয়ে ২৩ দিনে চারবার সেতুর পিলারে ধাক্কা খেল ফেরি। এর মধ্যে ১০ নম্বর পিলারে চার
দিনের মাথায় দ্বিতীয়বারের মতো ধাক্কা লাগল। এসব ধাক্কায় পিলারের পাইল ক্যাপের (পানির
অংশে) সিমেন্টের আস্তর উঠে গিয়ে সেখানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
পদ্মা সেতুর পিলারের সঙ্গে বারবার ফেরির
ধাক্কা লাগার ঘটনায় উদ্বিগ্ন কর্তৃপক্ষ। তারা ঘাট পিলারের সঙ্গে ফেরির ধাক্কা এড়াতে
দুটি বিষয় সামনে রেখে সমাধানের কথা ভাবছে। একটা হলো ঘাট স্থানান্তর। আরেকটি হলো ফেরি
চলাচলের সময় সেনাবাহিনীর সাহায্য নেওয়া।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে,
তীব্র স্রোতের কারণে তৈরি ঘূর্ণির ফলে ফেরির নিয়ন্ত্রণ শিথিল হয়ে বারবার ধাক্কা লাগছে
পিলারে। তাই সেতুর নিচ দিয়ে ফেরি চলাচল বন্ধে ঘাট স্থানান্তরকে স্থায়ী সমাধান দেখছে
তারা। সেটি না হওয়া পর্য ন্ত সেনাবাহিনীর সহায়তায় ফেরি চলাচল করতে পারে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী
গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, সেতুতে হালকা আঘাত লাগলেও এটাকে হালকাভাবে দেখছেন
না তারা। মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাটের বাঁধ রক্ষায় শরীয়তপুরের জাজিরায় মাঝিরকান্দিতে
ফেরিঘাট স্থানান্তরের বিষয়টি পরিকল্পনায় রয়েছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা এড়াতে ঘাট স্থানান্তর করার কথা ভাবা হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম জানান, পদ্মা সেতু এলাকা এড়ানোর জন্য বাংলাবাজার ঘাট স্থানান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার। এই ঘাটটি শরীয়তপুরের জাজিরায় মাঝিরকান্দি ঘাটে নেওয়া হবে।