প্রাকৃতিক গ্যাসের বাজার আগামী কয়েক বছর অস্থির থাকতে পারে। কারণ ক্রমবর্ধমান চাহিদার তুলনায় এখনো গ্যাসের সরবরাহ অনেক কম। কাতারের জ্বালানিমন্ত্রী এই মন্তব্য করেছেন।
আবুধাবিতে আটলান্টিক কাউন্সিলের সম্মেলনে সাদ আল-কাবি বলেন, আগামী কিছু বছরের জন্য একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি হতে চলেছে। বাজারে প্রচুর গ্যাস সরবরাহ করছি, কিন্তু তা যথেষ্ট নয় বলেও জানান তিনি। পরবর্তী শীতকাল উত্তর গোলার্ধের গ্যাস গ্রাহকদের জন্য কঠিন হতে পারে। কারণ রাশিয়ার জ্বালানি ছাড়াই তাদের মজুত সমৃদ্ধ করতে হবে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা ও পরে ইউরোপে মস্কোর সরবরাহ বন্ধের পরই গ্যাসের দাম বেড়ে যায়। যদিও অর্থনৈতিক ধীর গতির কারণে ২০২২ সালের মধ্যবর্তী সময় থেকে গ্যাসের দাম কমেছে। তাছাড়া তুলনামূলক শীত কম থাকায়ও ইউরোপ সুবিধা পাচ্ছে। তবে অতীতের তুলনায় জ্বালানির দাম এখনো অনেক বেশি রয়েছে। যদি চীনের অর্থনৈতিক কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হয় তাহলে জ্বালানির মূল্য আরও বেড়ে যেতে পারে। উচ্চ জ্বালানি মূল্যের কারণে ভোক্তারা সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়েছেন।
বিশ্বের শীর্ষ এলএনজি রপ্তানিকারক দেশ কাতার। উৎপাদন বাড়াতে ৪৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে তারা। তবে এই প্রকল্প শেষ হতে ২০২৭ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।