Logo
শিরোনাম

রাজধানীবাসীর স্বপ্ন পূরণের দিন আজ : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:বুধবার ২৮ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজ বাংলাদেশের জনগণের জন্য আনন্দের দিন। রাজধানীবাসীর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্বপ্ন পূরণের দিন। শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে দেশের মানুষ অর্জন করেছে একের পর এক স্বাধীনতার সুবর্ণ অর্জন। দেশের অর্জনে যুক্ত হয়েছে হিরন্ময় পালক।

আজ বুধবার মেট্রোরেলের উদ্বোধন উপলক্ষে রাজধানীর উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি তিনি এ সব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার অর্জন গণপরিবহনে মেট্রোরেল সংযোজন। শেখ হাসিনার অবদান মেট্রোরেল দৃশ্যমান। মানুষ বলে শেখের বেটি দেখিয়ে দিয়েছে- নিজের টাকায় পদ্মা সেতু তৈরি করে। মেট্রোরেল করে তিনি আবার প্রমাণ করলেন ইয়েস উই ক্যান। বাঙালি বীরের জাতি, চোরের জাতি নই। কোনো অপবাদ মাথা পেতে নিব না।

বিএনপি আগুন সন্ত্রাস করলে সেটা কঠোর হস্তে দমন করতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি মেট্রোরেলে দুর্নীতি না পেয়ে ভাড়া নিয়ে অনিয়মের কথা বলছে। সরকারের সমালোচনা করা বিএনপির রুটিন ওয়ার্কে পরিণত হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যতদিন এ বাংলায় চন্দ্র-সূর্য উদয় হবে, পাখি গান গাইবে, ততদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাম এ বাংলায় মুছবে না। সংকটে শেখ হাসিনার পাশে সাহসী সহযোদ্ধার নাম শেখ রেহানা। তিনি সাদাসিধে জীবনযাপন করেন। লন্ডনে চাকরি করেন, বাসে যাতায়াত করেন।


আরও খবর



আজ থেকে ব্যাংক লেনদেনে নতুন সময়সূচি

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ২৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

পবিত্র রমজান মাসের পুরো সময়ে ব্যাংকের লেনদেন চলবে প্রতিদিন পাঁচ ঘণ্টা করে। সরকারি-বেসরকারি সব ব্যাংকে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে একটানা বেলা আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেন চালু থাকবে। তবে ব্যাংক খোলা থাকবে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। অর্থাৎ ব্যাংকগুলো লেনদেন পরবর্তী সময়ে আনুষঙ্গিক কাজ সম্পন্ন হবে।

প্রথম রোজা থেকে এ সময়সূচি চালু হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু এবার রমজানের প্রথম দিন ছিলো শুক্রবার, দ্বিতীয় দিন ছিলো শনিবার। সাপ্তাহিক ছুটির দুই দিন শেষে গতকাল রোববার ছিলো মহান স্বাধীনতা দিবসের ছুটি। ফলে রমজানের ৩ দিন পার হওয়ার পর আজ সোমবার (২৭ মার্চ) থেকে নতুন সময়সূচিতে চলবে অফিস।

গত বুধবার (১৫ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ সাইট সুপারভিশন থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিলো। ওই প্রজ্ঞাপনে নতুন এ সময়সূচি উল্লেখ করা হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংক পবিত্র রমজান মাসে সকাল ৯.৩০ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এর মধ্যে বেলা ১.১৫টা থেকে ১.৩০ টা পর্যন্ত জোহরের নামায়ের বিরতি থাকবে। তবে এ বিরতির সময় অভ্যন্তরীণ সমন্বয়ের মাধ্যমে ব্যাংকের লেনদেন অব্যাহত রাখা যাবে।

অন্যান্য সময় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংকে লেনদেন হয়। ব্যাংকের অফিস সময় থাকে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। তবে প্রতি বছরের রমজান মাসে অফিস ও লেনদেন সময়সূচিতে পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ ব্যাংক। রমজান শেষে অফিস সময়সূচি পূর্বাস্থায় ফিরে আসবে বলে সার্কুলারে বলা হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ব্যাংক লেনদেন

আরও খবর

দাম কমলেও নাগালের বাইরে মুরগি

শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩




মিয়ানমারে বৌদ্ধ মঠে সেনাবাহিনীর হামলা, নিহত ৩০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৭৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

মিয়ানমারের এক বিদ্রোহী গোষ্ঠী জানিয়েছে, দেশটির সেনাবাহিনী শান রাজ্যের এক মঠে হামলা চালিয়ে ৩০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে।

কারেনি ন্যাশনালিটিস ডিফেন্স ফোর্স (কেএনডিএফ) জানিয়েছে, সেনারা শনিবার নান নেইন গ্রামে গোলাবর্ষণ করেছে।

বিবিসি জানিয়েছে, দুই বছর আগে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের জান্তা ক্ষমতা দখল করার পর থেকে দেশটির সামরিক বাহিনী ও সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে প্রাণঘাতী লড়াইয়ের ঘটনা বাড়তে দেখা যাচ্ছে।

এর মধ্যে সবচেয়ে তীব্র কিছু লড়াই হয়েছে শান রাজ্যে, মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদো ও প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের সঙ্গে রাজ্যটির সীমান্ত আছে। খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের।

কেএনডিএফ জানিয়েছে, গোলাবর্ষণের পর শনিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টার দিকে জান্তার বিমান বাহিনী ও গোলন্দাজ বাহিনী গ্রামটিতে প্রবেশ করে এবং মঠে লুকিয়ে থাকা গ্রামবাসীদের খুঁজে বের করে এনে হত্যা করে।

তারা অন্তত ৩০ বেসামরিক ও তিনজন বৌদ্ধ ভিক্ষুকে হত্যা করেছে বলে গোষ্ঠীটি জানিয়েছে।

স্থানীয় সংবাদপত্র কান্তারাওয়াদ্দি টাইমসের প্রতিবেদনে দেওয়া উদ্ধৃতিতে কেএনডিএফ এর মুখপাত্র বলেছেন, সামরিক বাহিনীর তাদের মঠের সামনে এনে লাইন ধরে দাঁড়াতে বাধ্য করে তারপর ভিক্ষুদেরসহ সবাইকে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করে।

কেএনডিএফ এর এক ভিডিওতে অন্তত ২০টি মৃতদেহ দেখা গেছে। লাশগুলো মঠের পাশে স্তূপ করে রাখা ছিল। নিহতদের কয়েকজনের পরনে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ব্যবহৃত কমলা রঙের পিরান দেখা গেছে।

মৃতদেহগুলোর শরীরে বন্দুকের গুলির আঘাতের মতো অনেক চিহ্ন দেখা গেছে। ভিডিওতে মঠের দেয়ালে গুলির আঘাতে তৈরি হওয়া গর্তও দেখা গেছে।

মঠের চারপাশের কয়েকটি ভবন ও বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, এগুলো গ্রামটিতে সামরিক বাহিনীর হামলার নজির বলে জানিয়েছে কেএনডিএফ।

মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীর যে বাহিনীগুলো যোগ দিয়েছে কেএনডিএফ তাদের মধ্যে একটি।

বিবিসি জানিয়েছে, ঘটনাটির বিস্তারিত যাচাই করা কঠিন হলেও মিয়ানমারের এই অংশে নিরস্ত্র বেসামরিকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের বর্বরতার ঘটনা নতুন নয়। অভ্যুত্থানের পর থেকে এখানে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে সবচেয়ে প্রবল প্রতিরোধের কিছু ঘটনা ঘটেছে।

ওই এলাকার অন্যান্য গ্রামে সামরিক বাহিনীর অভিযান অব্যাহত আছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এতে কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন।

মিয়ানমারের জান্তা সরকার চলতি বছর একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশা করছে। এটি তাদের জন্য অতি প্রয়োজনীয় কিছু বৈধতা এনে দেবে বলে মনে করছে তারা।

কিন্তু সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ব্যাপক বিমান হামলা সত্ত্বেও তাদের শাসনের বিরোধীদের দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে তারা, এতে নির্বাচন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মিয়ানমারে কয়েক দশক ধরেই গৃহযুদ্ধ চলছে, এ যুদ্ধ ২০২১ এর সামরিক অভ্যুত্থানের পর আরও ছড়িয়ে পড়েছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, এসব লড়াইয়ের ঘটনায় ১৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, ৪০ হাজার বাড়ি গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, ৮০ লাখ শিশু স্কুল ছাড়তে বাধ্য হয়েছে এবং প্রায় দেড় কোটি লোক খাদ্যের অভাবের মুখোমুখি হয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে আছেন।

ভিন্ন মতাবলম্বীদের বিরুদ্ধে জান্তার দমনপীড়নে এ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন বলে দেশটির পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী অ্যসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স গোষ্ঠী জানিয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: হত্যা বৌদ্ধ মঠ

আরও খবর



বায়ুদূষণে আজ শীর্ষ ছয়ে ঢাকা

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | ৪৭জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিশ্বজুড়ে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউ এয়ারের তথ্য অনুযায়ী সোমবার (১৩ মার্চ) ঢাকার বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর। এদিন বেলা সাড়ে ৮টার দিকে ১৫৯ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা।

এদিন ১৯৯ স্কোর নিয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। ১৯৬ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। ১৮৮ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু। ১৭৯ স্কোর নিয়ে তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ভারতের মুম্বাই।

এ ছাড়া একইসময়ে একিউআই স্কোর ১৬৮ নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের করাচি। ১৫৯ স্কোর নিয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াংমাই। ১৫৬ স্কোর নিয়ে অষ্টম স্থানে রয়েছে ভারতের কলকাতা। ১৫৬ স্কোর নিয়ে নবম স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। ১৫১ স্কোর নিয়ে দশম স্থানে রয়েছে মায়ানমারের ইয়াঙ্গুন। এর আগে ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে ঢাকার বায়ু ছিল অস্বাস্থ্যকর বা খুবই অস্বাস্থ্যকর অবস্থায়। প্রায় প্রতিদিনই দূষিত বায়ুর তালিকায় শীর্ষে ছিল ঢাকা।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।

তথ্যমতে, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ সহনীয় হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে খুব অস্বাস্থ্যকর এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে বিপজ্জনক বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

ঢাকায় বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। বায়ুদূষণের ফলে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালির সংক্রমণ এবং বিষণ্ণতার ঝুঁকি।


আরও খবর



স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে দেশে ফিরেছেন ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | ৭৬জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে দেশে ফিরেছেন। শুক্রবার রাতে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ০৫৮৫ ফ্লাইটযোগে শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় ওবায়দুল কাদের সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে ঢাকায় পৌঁছান।

উল্লেখ্য, ওবায়দুল কাদের গত ১ মার্চ নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর যান।

নিউজ ট্যাগ: ওবায়দুল কাদের

আরও খবর



ক্ষমতা ধরে রাখতে পুরোনো খেলায় মেতেছে সরকার : মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | ১১৯জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই অনির্বাচিত, অবৈধ, ফ্যাসিষ্ট সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার জন্য এবং বিএনপিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে পুরোনো খেলায় মেতে উঠেছে। মিথ্যা, গায়েবি মামলা, গ্রেপ্তার, ঘরে ঘরে তল্লাশি-হয়রানির মাধ্যমে নির্যাতন-নিপীড়নের মাত্রা বহু গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে তারা। মিথ্যা মামলায় নেতাকর্মীদের কারাগারে নিয়ে যে ধরনের নির্যাতন করে, তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। আজ সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, মিথ্যা মামলাকে এই সরকার প্রজেক্টের মতো নিয়েছে। এতে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হচ্ছে। নেতারা জামিন নিয়ে যখন বের হবেন, তখনই আবার জেলগেটে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এখানে আছে বাণিজ্যের ব্যাপার। কারণ, এখন পুলিশি রাষ্ট্র হয়ে গেছে। আমাদেরকে প্রথম কারাগারে নেওয়ার পর কনডেম সেলে রাখা হয়েছিল কোয়ারেন্টিনের নামে। যা চরম অমানবিক। এ ক্ষেত্রে কারাবিধি মানা হয়নি। কারাগারের আচরণ ও নিপীড়ন যেন মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। নির্বাচনের আগে সরকার আবারও বিএনপিকে মাঠশূন্য করতে চায়।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা, গায়েবি মামলা, গ্রেপ্তার, ঘরে ঘরে তল্লাশি এবং হয়রানি করে নির্যাতন-নিপীড়নের মাত্রা বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। এই হীন পরিকল্পনায় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ও অনেক সিনিয়র নেতাসহ  অসংখ্য কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে এবং কারাগারে অমানবিক নির্যাতন শুরু করেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা ও হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় এবং সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে বর্তমানে কেরানীগঞ্জ কারাগারে কারান্তরীণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সুচিকিৎসা প্রদানে সরকার ও কারা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে বুকে ও পায়ে গুলিবিদ্ধ রুহুল কবির রিজভী ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, করোনায় আক্রান্ত হয়ে ফুসফুসে জটিলতা ও হার্টের অসুখসহ বিভিন্ন মারাত্মক অসুখে শারীরিকভাবে অসুস্থ একজন মানুষ। তিনি সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার সময় অন্যের সাহায্য ছাড়া চলতে পারেন না, তাছাড়া তাকে সব সময় লাঠির ওপর ভর করে চলতে হয়। এমন এক পরিস্থিতিতে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে পুরান ঢাকার আদালতে আসার দীর্ঘ পথ প্রিজন ভ্যানে তাকে আনা-নেওয়া করা হচ্ছে। এই প্রিজন ভ্যানগুলোতে বসার কোনো ব্যবস্থা নেই এমনকি কোনো কিছু ধরে দাঁড়িয়ে থাকারও ব্যবস্থা নেই। অসুস্থ রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে চরম ঝুঁকি নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই আদালতে আনা-নেওয়া করানো হয়, যা চরম অমানবিকতা ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন। শাসকগোষ্ঠীর ইচ্ছারই প্রতিফলন।

মির্জা ফখরুল বলেন, মূলত রিজভী আহমেদ বর্তমান সরকারের চরম রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। বর্তমান অনৈতিক সরকার ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে আজ মানবিকতাবোধও হারিয়ে ফেলেছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সরকারের অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে একজন সোচ্চার কণ্ঠ বলেই তিনি সরকারের রোষানলের শিকার। তাঁর মতো একজন জাতীয় নেতা কারাগারে ভীষণ অসুস্থ হলেও তাঁকে সুচিকিৎসা দিতে কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, রুহুল কবির রিজভী ছাড়াও বিএনপির স্বেচ্ছাসেবা বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহসভাপতি ইউসুফ বিন জলিল কালু, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহবায়ক গোলাম মাওলা শাহীন, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমানসহ অসংখ্য নেতাকর্মী বর্তমান সরকারের রোষানলে কারাবন্দি আছেন। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্মূল ও পর্যদুস্ত করতে নিষ্ঠুর আওয়ামী সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়ে সারাদেশকে কারাগারে পরিণত করেছে। কারাগারগুলোতে এখন তিল ধারণের ঠাঁই নেই।

মির্জা ফখরুল বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যরাতের মহাভোট ডাকাতির নির্বাচনের পর বর্তমান সরকারের দুঃশাসন যেন আরও তীব্র মাত্রা লাভ করেছে। সরকার দেশকে বিএনপিশূন্য করতে এখন বেপরোয়া ভূমিকায় মাঠে নেমেছে। কর্তৃত্ববাদী স্বৈরাচারী সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন চালিয়ে চারিদিকে ভীতির বিস্তার ঘটাচ্ছে, যাতে সরকারের বিরুদ্ধে কেউ আওয়াজ করারও সাহস না পায়। বিশ্বের গণধিকৃত সব স্বৈরাচারকে টেক্কা দিয়ে জনসমর্থনহীন আওয়ামী সরকার এখন মানুষের জানমালের নিরাপত্তাকে চরম হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে।  

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান স্বৈরশাহী দেশে বিরোধী দলের অস্তিত্ব ধ্বংস করে নিজেদের দুঃশাসনকে প্রলম্বিত করতে চায়। তবে জনগণ তাদের এই মনোবাঞ্ছা কোনোদিনই পূরণ হতে দেবে না। অতীতের সংগ্রামী ঐতিহ্যের ধারায় বাংলাদেশের মানুষ যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে দ্বিধা করবে না।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমি অবিলম্বে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে সুচিকিৎসা প্রদান এবং তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সব মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারসহ বিএনপির সব কারারুদ্ধ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা জহির উদ্দিন স্বপন প্রমুখ।


আরও খবর