Logo
শিরোনাম

রফতানি ৩০০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ানোর আশা ইন্দোনেশিয়ার

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ অক্টোবর ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | ৮৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

নিকেল আকরিক রফতানি নিষিদ্ধের পর ইন্দোনেশিয়ার নিকেলভিত্তিক ইস্পাতের রফতানি বেড়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে বেড়েছে দেশটির মোট রফতানি আয়। পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছর দেশটির রফতানি আয় ২৮ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। ইন্দোনেশিয়া সরকার তামা, বক্সাইট ও টিনের মতো পণ্যের রফতানিতেও লাগাম টানার পরিকল্পনা করছে। এ পরিকল্পনার লক্ষ্য স্থানীয় শিল্পগুলোয় বিনিয়োগে উৎসাহিত করা। তার পরও ২০২৪ সাল নাগাদ রফতানি আয় ৩০ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতির এ দেশ এক বছর ধরেই রফতানিতে উল্লম্ফন দেখতে পাচ্ছে। এর কারণ হলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া।

বিশ্বে কয়লা, পাম অয়েল, পরিশোধিত টিনের সবচেয়ে বড় রফতানিকারক ইন্দোনেশিয়া। এছাড়া নিকেলভিত্তিক স্টিল, তামা, রাবার ও অন্য বেশকিছু পণ্যের মূল বিক্রেতাও দেশটি। কিন্তু দেশের সম্পদের নিম্নগতি রয়েছে এমন কারণ দেখিয়ে ২০২০ সালে নিকেল আকরিক রফতানি বন্ধ করে দেয় দেশটির সরকার। এর ফলে খাতসংশ্লিষ্ট বিনিয়োগে আগ্রহ সৃষ্টি হয়।

দেশটির বিনিয়োগ বিষয়ক মন্ত্রী লুহুত পান্ডজাইতান বলেন, বক্সাইট, টিনসহ বিভিন্ন ধাতু প্রক্রিয়াকরণ শিল্পকে উন্নত করতে চায় সরকার। পরবর্তী সময়ে পাম অয়েলসহ উচ্চমূল্যের পণ্য প্রক্রিয়াকরণেরও পরিকল্পনা রয়েছে। গত বছর আমাদের রফতানি আয় ছিল ২৩ হাজার ২০০ কোটি ডলার। চলতি বছর সম্ভবত তা ২৮ হাজার কোটি ডলারে দাঁড়াবে। এভাবে চলতে থাকলে ২০২৪ সালে রফতানি আয় ৩০ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এটি কাজে দিলে ২০২৪ সাল নাগাদ আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে দ্রুতগতির। ২০৩০ সাল নাগাদ ইন্দোনেশিয়ার জিডিপি দাঁড়াবে ৩ লাখ ৫০ হাজার কোটি ডলারে। অর্থনীতির এ আকার বর্তমানের ১ লাখ ১৯ হাজার কোটি ডলারের প্রায় তিন গুণ।

চলতি বছর নিকেল ধাতুর রফতানি ৩ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে। ২০২১ সালে যা ছিল ২ হাজার ১০০ কোটি ডলার। আর ২০১৫ সালে ছিল মাত্র ১৪০ কোটি ডলার। বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা, আগামী বছর কিছু পণ্যের দাম কমে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ২০২৩ সালে পাম অয়েল ও কয়লার দাম ধরে রাখা সম্ভব হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এছাড়া ২০২৪ সাল নাগাদ ইন্দোনেশিয়া বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যাটারি উৎপাদন শুরু করতে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো বলেছিলেন, টিন রফতানিতে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এখনো নানা হিসাবনিকাশ করছে সরকার। এছাড়া খনি শিল্পের প্রক্রিয়াকরণে কীভাবে আরো অভ্যন্তরীণ খাতের সম্পৃক্ততা বাড়ানো যায় সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে। অন্যদিকে নিকেল আকরিক রফতানিতে সরকারের দেয়া নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) কাছে ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এ অভিযোগের বিষয়ে চলতি প্রান্তিকেই সংশ্লিষ্ট প্যানেলের প্রতিবেদন দেয়ার কথা রয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ইন্দোনেশিয়া

আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩