Logo
শিরোনাম

সিংহলিদের বীর থেকে জাতীয় ভিলেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ নভেম্বর ২০২৩ | ৮৮০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

শ্রীলংকায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভের উদগিরণ এখনো বন্ধ হয়নি। জনবিক্ষোভের মুখে আত্মগোপনে চলে গিয়েছেন অনেক রাজনৈতিক নেতা। বিশেষ করে সরকারের পক্ষে যে রাজনৈতিক নেতারা ছিলেন তারা একেবারেই প্রকাশ্যে আসতে চাইছেন না। এরই মধ্যে জনরোষে ধ্বংস হয়েছে অনেকের বাড়িঘর। শ্রীলংকা পরিস্থিতি এখন ভীষণ উত্তপ্ত। প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসের পদত্যাগের পর এখন বিক্ষোভকারীদের দাবি প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের পদত্যাগ। সে দাবি আদায়ে এখনো আন্দোলন-বিক্ষোভ চলছে।

দেশটিতে যে পরিস্থিতি চলমান, তা একদিনে তৈরি হয়নি। মাহিন্দা রাজাপাকসের বিরুদ্ধে এখন যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে, একসময় তা ছিল ভালোবাসা। তামিল টাইগার বিদ্রোহীদের দমনের কারণে বেশির ভাগ সিংহলির কাছে  বীরে পরিণত হয়েছিলেন গোতাবায়া রাজাপাকসে, কিন্তু এখন জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবার কাছে জাতীয় ভিলেনে পরিণত হয়েছেন।

রাজাপাকসে ভাইয়েরা, অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে ও প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে সবসময়ই একে অন্যের পাশে থেকেছেন। কিন্তু পদত্যাগের প্রশ্নে সেই সম্পর্কেও ফাটল ধরেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে সোমবার পদত্যাগ করতে বাধ্য হন মাহিন্দা। এর আগে এক বিশেষ বৈঠকে ভাইকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে অনুরোধ করেন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। কয়েকজন মন্ত্রী এ বিষয়ে মত দিলে পদত্যাগে সায় দেন মাহিন্দা। এর আগে পার্লামেন্টে দেশটির এক মন্ত্রী জানিয়েছিলেন যে পদত্যাগ করবেন না দেশের প্রেসিডেন্ট। সোমবার সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা কলম্বোতে মাহিন্দা রাজাপাকসের বাসভবনে আগুন দেয়। বিক্ষুব্ধ জনতা কেবল আগুন দিয়ে আর ভাংচুর করেই ক্ষান্ত হয়নি। হামলা করে সরকার সমর্থক ও রাজনীতিকদের ওপরও। সেদিনের সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় এক এমপিসহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে কারফিউ ঘোষণা করা হলেও তা অমান্য করে পথে নেমে আসে বিক্ষোভকারীরা।

২০০৯ সাল ছিল মাহিন্দা রাজাপাকসের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উজ্জ্বল সময়। সেই সময় প্রথমবারের মতো দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ও নিষ্ঠুর হিসেবে পরিচিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী লিবারেশন টাইগারস অব তামিল ইলমকে (এলটিটিই) ধ্বংস করেন তিনি। যার মাধ্যমে শেষ হয় ৩০ বছর ধরে চলে আসা রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ। এ ঘটনা মাহিন্দাকে রীতিমতো বীরের সম্মান এনে দেয়, সেটি দেশে তো বটেই, আন্তর্জাতিক পরিসরেও। এ অবদানের পেছনে ছিল গোটা রাজাপাকসে পরিবার। সেই সময় তাদের প্রতিপক্ষ বা বিরোধী দল বলে আসলে কিছু ছিল না।

সেই সময় মাহিন্দা রাজাপাকসেকে জাতির পিতা, পতাকায় খচিত সিংহ বীর, বিশ্বের বিস্ময়সহ নানা উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিল। আর ঠিক ১৩ বছর পর সেই মাহিন্দাকেই রীতিমতো ক্ষমতা থেকে উত্খাত করেছে দেশটির সাধারণ মানুষ। সেই মানুষগুলোই তার পতনের দাবিতে দিনের পর দিন রাজপথ আগলে রেখেছে, তার বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছে, দাঁড়িয়েছে পুলিশের রাবার বুলেটের মুখোমুখি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, অর্থনৈতিক আর রাজনৈতিক নানা সংকটে নিমজ্জিত শ্রীলংকার জনগণের পিঠ একেবারে দেয়ালে ঠেকে গিয়েছে। নিত্যপণ্যের সংকট, অর্থাভাব, জ্বালানি, বিদ্যুৎ, শিশুখাদ্য, জরুরি ওষুধসহ বেঁচে থাকার মতো সব অবলম্বন হারিয়ে পথে নামে দেশটির মানুষ। আর নিজেদের এসব সংকটের কারণে দেশের ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রী ও সর্বোপরি রাজাপাকসে পরিবার নিয়ন্ত্রিত সরকারকেই দুষছে তারা। রাজনীতি ও অর্থনীতি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের ভুল নীতি, অব্যবস্থাপনা, অর্থের অপচয়সহ নানা কারণে এ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে সরকারকে। এর সঙ্গে দীর্ঘ গৃহযুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতির রেশ তো ছিলই। তবে সরকার দুষছে কভিড মহামারীকে। এর কারণেই ধসে পড়ে দেশটির অর্থনীতির সবচেয়ে বড় স্তম্ভ পর্যটন শিল্প।

১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ শাসনমুক্ত হয় শ্রীলংকা। এর পর থেকে এবারই প্রথম এমন চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে দেশটি। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ঠেকেছে তলানিতে। এমন অবস্থায় বিশ্বের দেশগুলোর কাছে জরুরি অর্থসহায়তা চাইতে হয়েছে। তবে দেশ হিসেবে শ্রীলংকা ক্রমেই দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হলেও সম্পদে ফুলেফেঁপে উঠেছে রাজাপাকসে পরিবার। প্যান্ডোরা পেপার্সে উঠে এসেছে মাহিন্দা ও গোতাবায়ার ভাতিজি নিরুপমা রাজাপাকসে ও তার স্বামী থিরুক্কুমারান নাদেসানের বিদেশে বিপুল অর্থ পাচার ও অনুমোদনহীন বিনিয়োগের তথ্য। নিরুপমা অবশ্য এরই মধ্যে শ্রীলংকা ছেড়েছেন।

২০০৫ সালে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মাহিন্দা রাজাপাকসে। এর পর থেকে শ্রীলংকার রাজনীতিতে উত্থান ঘটে রাজাপাকসে পরিবারের। স্পিকার, অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী, প্রতিরক্ষা সচিবসহ বড় পদে নিয়োগ পান এ পরিবারের সদস্যরা। রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্থার প্রধানের দায়িত্বও পান পরিবারের সদস্যরা। সময়ের সঙ্গে ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে বিপুল বৈভবের মালিকানা গেছে এ পরিবারে। রাজাপাকসে ভাইদের বাবা শ্রীলংকার সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও পার্লামেন্টের ডেপুটি স্পিকার ডন আলভিন রাজাপাকসের মৃত্যু হয়েছিল প্রায় কপর্দকহীন অবস্থায়। সেখান থেকে দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও অন্যতম ধনী পরিবারে পরিণত হয়েছে তার পরিবার। সেই প্রভাবশালী পরিবারের বিরুদ্ধেই এখন রাজপথে নেমেছে সাধারণ মানুষ। কেবল মাহিন্দাই নয়, প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসেরও পদত্যাগ চাইছে তারা।


আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৮০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর