Logo
শিরোনাম

সংকট মোকাবেলায় এলএনজিতে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | ৮২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিদিনই ব্যাপক হারে বাড়ছে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) চাহিদা। বর্তমানে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম ৪০ ডলারের কাছাকাছি অবস্থান করছে। চাহিদা বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দাম। কিন্তু সে অনুপাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ আসছে না এ খাতে। বিশ্ববাজারে চলমান জ্বালানি সংকট কাটাতে এলএনজি খাতে আরো বেশি বিনিয়োগের প্রয়োজন বলে মনে করছেন জি৭-ভুক্ত দেশগুলোর নেতারা। খবর এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল প্ল্যাটস।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুধু সংকট মোকাবেলাই নয়, রাশিয়ান প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর থেকে নির্ভরতা কমিয়ে আনতেও এ খাতকে শক্তিশালী করে তুলতে হবে। চলতি বছর প্রাকৃতিক গ্যাসের বৈশ্বিক দাম রেকর্ড সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। তবে এ খাতে বিনিয়োগও এসেছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন তরলীকরণ কেন্দ্র এবং ইউরোপে রিগ্যাসিফিকেশন অবকাঠামো নির্মাণে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ এসেছে।

ইন্ডাস্ট্রি গ্রুপ জিআইআইজিএনএল সম্প্রতি এক বার্ষিক প্রতিবেদনে জানায়, বিশ্বব্যাপী এলএনজির বাণিজ্য অব্যাহত বাড়ছে। গত বছরই পণ্যটির আমদানি ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ বেড়েছে। আমদানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে। ৩৭ কোটি ২৩ লাখ টনে। ওই প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট জিন এবিটেবল বলেন, ইউরোপে সাম্প্রতিক জ্বালানি সংকট এলএনজির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে একরকম সতর্ক বার্তাই বলা যেতে পারে। জ্বালানি সুরক্ষা ও অর্থনীতিক স্থিতি বজায় রাখতে এ খাতে আরো মনোযোগ বাড়াতে হবে। বেশির ভাগ দেশের সরকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো অব্যাহতভাবে এলএনজি বাণিজ্যে সম্পৃক্ত হচ্ছে। ফলে কয়েক বছরের মধ্যে এ খাতে বড় পরিবর্তন আসতে পারে। আর এ বিষয়ই খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করছে তার প্রতিষ্ঠান। এলএনজি বাণিজ্যে সম্পৃক্ততায় এগিয়ে আছে ইউরোপ। রাশিয়ান গ্যাসের ওপর থেকে নির্ভরতা কমিয়ে আনতে অঞ্চলটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বিকল্প উৎস থেকে এলএনজি আমদানি ও উৎপাদনকে। অঞ্চলটিতে এরই মধ্যে নতুন এলএনজি আমদানির অবকাঠামো নির্মাণের তোড়জোড় চলছে।

জি৭ বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাস সরবরাহ সুরক্ষিত রাখতে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এলএনজি খাতে বিনিয়োগ। এক্ষেত্রে সাময়িকভাবে সরকারি সহায়তায় বিনিয়োগ যথার্থ হতে পারে। তবে বিনিয়োগ যাতে জলবায়ু পরিবর্তনের যে লক্ষ্যমাত্রা আছে তাতে কোনো রকম ব্যাঘাত না ঘটায়, সে ব্যাপারে সচেতন থাকার আহ্বানও জানিয়েছেন জি৭ নেতারা। সম্প্রতি রাশিয়ার জ্বালানি তেলের সর্বোচ্চ মূল্যসীমা বেঁধে দিয়েছে জি৭ ও পশ্চিমা দেশগুলো। উদ্দেশ্য দেশটির জ্বালানি তেল খাত থেকে প্রাপ্ত আয় কমিয়ে দেয়া। এবার গ্যাসের সর্বোচ্চ মূল্যসীমা বেঁধে দেয়ার পরিকল্পনা করছে জি৭। তবে কবে নাগাদ এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে তা জানানো হয়নি।

বিশ্লেষকরা বলেন, ইউরোপের চাহিদা মেটাতে যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকটি নতুন এলএনজি সক্ষমতার উন্নয়ন করবে। এক্ষেত্রে দেশটি অবকাঠামোগত প্রতিবন্ধকতার মধ্যে রয়েছে। বিশ্ববাজারে এলএনজির সংকট শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে তিন কোটি টন এলএনজির নতুন চুক্তি হয়েছে। কিন্তু শুধু দুটি ইউরোপিয়ান ক্রেতা প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করেছে। তিন কোটি টন এলএনজির বেশির ভাগ চুক্তিই করেছে এশিয়া ও বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। বর্তমানে আমাদের আরো ২০ কোটি টন এলএনজি প্রয়োজন। এজন্য তরলীকরণ বাড়াতে হবে।

নিউজ ট্যাগ: এলএনজি

আরও খবর

এলপিজির দাম আরও বাড়ল

বৃহস্পতিবার ০২ নভেম্বর 2০২3