আগামী অক্টোবরে
শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবারের বিশ্বকাপে আফগানরা অংশ নিচ্ছে সরাসরি যোগ্যতা
অর্জন করে। কিন্তু আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে আফগানদের বিশ্বকাপে অংশ
নেয়াই পড়ে গেছে শঙ্কার মুখে।
কাবুল দখলের আগেই
আফগানিস্তানের ছয়টি প্রধান ক্রিকেট স্টেডিয়ামের তিনটিই তালেবানদের দখলে চলে যায়। কাবুল
দখলের মাধ্যমে তো সব স্টেডিয়ামই এখন তালেবানদের দখলে। বিশ্বকাপের ঠিক আগ মুহূর্তে যখন
ক্রিকেট উন্মাদনা থাকার কথা, তখন দেশের এই টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে ক্রিকেটই শঙ্কার
মুখে পড়ে গেছে।
বিশ্ব ক্রিকেটে
নতুন শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছিল আফগানিস্তান। এরই মধ্যে তারা টেস্ট মর্যাদা লাভ
করেছে। টি-টোয়েন্টিতে নিজেদের শক্তিশালী একটি দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পেরেছে। যদিও আফগানিস্তানে
এর আগে তালেবানের শাসনে খেলাধুলা-বিনোদনসহ
সবকিছু বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এবার কী হবে, আগাম কিছুই বলা যাচ্ছে না।
আসন্ন টি-টোয়েন্টি
বিশ্বকাপে আফগানিস্তান খেলতে পারবে কি না তা নিয়ে তৈরি হয়েছে তীব্র ধোঁয়াশা। আইপিএলে
অংশ নেওয়া তিন আফগান তারকা ছাড়াও আফগানিস্তানের বিশ্বকাপ দলের বাকি ক্রিকেটাররা নিজ
দেশেই প্রস্তুতি নেওয়ার কথা ছিল; কিন্তু স্থানীয় স্টেডিয়ামে যে ক্রিকেটাররা অনুশীলন
করছিলেন তারাও এখন ব্যাট-প্যাড গুটিয়ে মাঠের বাইরে চলে গেছেন। সবাই এখন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ
করছেন।
জাতীয় দলের বড় সংখ্যক ক্রিকেটার আফগানিস্তানেই রয়েছেন। রশিদ খান, মুজিব উর রহমান এবং মোহাম্মদ নবি আইপিএল খেলার জন্য রয়েছেন আফগানিস্তানের বাইরে। যদিও তারা আগে থেকেই বিশ্বনেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে যাচ্ছিলেন, তালেবানদের কাছ থেকে তাদের দেশকে রক্ষা করার জন্য।