Logo
শিরোনাম

সৌন্দর্য উপভোগ করতে চলুন সাজেক ভ্যালি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১২ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | ৫৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

পাহাড়ের প্রতি ভালোবাসা আর পাহাড়ের সৌন্দর্য  উপভোগ করতে চাইলে নিঃসন্দেহে প্রথমেই বেছে নেওয়া যায় সাজেক ভ্যালি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১ হাজার ৮০০ ফুট ওপরে অবস্থিত সাজেক ভ্যালি দেশি-বিদেশি পর্যটকের জন্য আদর্শ স্থান এবং এখানকার সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থা মূল আকর্ষণের কারণ। চাঁদ থেকে চাঁদের গাড়ি, মেঘ থেকে মেঘের চাদরদুটোরই দেখা মিলবে মেঘের রাজ্য খ্যাত বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ ইউনিয়ন সাজেক ভ্যালিতে। আঁকাবাঁকা পথ আর এলোমেলো পাহাড়ের মাঝ দিয়ে চলে যাওয়া সুবিন্যস্ত রাস্তার সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে কখন যে সাজেক ভ্যালি পৌঁছে যাবেন, টের পাওয়া যাবে না।

ভোরের সতেজ বাতাস, সকালের কোমল রোদ, খুব কাছ থেকে মেঘেদের আলতো করে ছুঁয়ে যাওয়া, সীমানার বাইরে যতদূর চোখ যায় শুধুই আকাশচুম্বী সবুজ পাহাড়, আদিবাসীদের আন্তরিকতা এবং আঁধার নেমে এলে নীল আকাশে ছায়াপথের আনাগোনাএসব কেবল  একটা জায়গা থেকেই উপভোগ করা গেলে বিষয়টা নেহাত মন্দ নয়।

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ জেলা রাঙামাটির উত্তর-পশ্চিমে  অবস্থিত বাংলাদেশ-মিয়ানমার-মিজোরাম (ভারত) বর্ডারের পাশ ঘিরে অবস্থিত সাজেক ভ্যালি । এখানে যাওয়ার পথ দুটি। একটি চলে গেছে রাঙামাটি দিয়ে, অন্যটি খাগড়াছড়ি হয়ে। দ্বিতীয় পথটি সহজ এবং নিরাপত্তার দিক থেকে শ্রেষ্ঠ বলে পর্যটকের আনাগোনাও এখান দিয়েই বেশি। 

চাঁদের গাড়িতে সাজেক যাত্রায় ভোরের সতেজ বাতাস আপনাকে আলিঙ্গন করে নেবে, পথ চলতে চলতে পাহাড়ি ছেলেমেয়েদের হাত নেড়ে জানানো উষ্ণ অভ্যর্থনা করে তুলবে বিমোহিত। রুইলুইপাড়ায় থাকার বাহারি ব্যবস্থা, মনোরম পরিবেশনায় পাহাড়ি খাবার, কঙলাকপাড়া অর্থাৎ সাজেকের সর্বোচ্চ চূড়া থেকে সূর্যাস্ত কিংবা ভোরের সূর্যোদয় দেখা, রাতের নিস্তব্ধতা, রাতের আকাশে অগণিত নক্ষত্রের মিলনমেলা উপভোগের পাশাপাশি যে বিষয়টা বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে গণ্য হয় তা হলো, সবুজ পাহাড়গুলোর শুভ্র মেঘের চাদরে ঢেকে যাওয়া। মাটিতে দাঁড়িয়ে মেঘ ছুঁতে পারার চাইতে আনন্দের আর কী হতে পারে!

সাদা মেঘের চাদরে ঢেকে থাকা দৃশ্যের দিকে চোখ বোলালে উৎসুক মনকে প্রশ্ন করা যায় মেঘেদের ওপরে পা দোলানোর অনুভূতি। সুযোগ রয়েছে দোলনায় বসে মেঘের ওপর পা দোলানোর সুযোগ। সাজেকের পথ ধরে হাঁটলে মনে হবে গ্রামের মেঠোপথ ধরে হাঁটছি, যে পথ পিচঢালা। এ পথ ধরে ৪৫ মিনিটের দূরত্বে রয়েছে সিপ্পু পাহাড়ে অবস্থিত কঙলাকপাড়া। সিপ্পু পাহাড়, যেটি শুধু সাজেকেরই নয়, পুরো রাঙামাটি জেলার সর্বোচ্চ পাহাড়। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার ৮০০ ফুট উঁচু। ছোট্ট এ পাড়াটিতে বসবাস করেন পাংখো আদিবাসীরা। এরা টুকটাক বাংলা বলতে পারলেও ইংরেজিতে বেশ দক্ষ। কঙলাকপাড়ায় রয়েছে সুস্বাদু লাল পেয়ারা, কলা, জাম্বুরা। পাহাড়ি মরিচের কথা না বললেই নয়। এত ঝাল, বলার বাইরে।

সাজেকের দুঃখ লুসাই পাহাড়। সাজেকের দুই পাশের রাস্তায় তাকালে যেদিক দিয়ে সূর্যোদয় হয় সেদিকে দেখা যাবে ছোট ছোট অনেক পাহাড়ের পরে দূরে বিশাল এক পাহাড়, এটাই লুসাই পাহাড়। যেই লুসাই পাহাড় থেকে কর্ণফুলী নদীর সৃষ্টি। যেদিকে যত দূরেই যান এ পাহাড় আপনাকে অনুসরণ করবে। কিন্তু পাহাড়টি আমাদের না, ভারতের। এর চেয়ে বড় দুঃখ আর কী হতে পারে!

নিউজ ট্যাগ: সাজেক ভ্যালি

আরও খবর

অরণ্যযাপনের আগে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখবেন

বৃহস্পতিবার ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৩