Logo
শিরোনাম

সৌরশক্তি উৎপাদনের সবচেয়ে বড় প্রকল্প সমুদ্রে

প্রকাশিত:রবিবার ২৯ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | ১৩৩৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

বহু বছর ধরেই দেশে-বিদেশে খোলা জায়গায় সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প নির্মিত হয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাংলাদেশেও প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে এই সূর্যরশ্মিকে কাজে লাগিয়েছে। বাড়ির ছাদ থেকে শুরু করে খোলা মাঠে সোলার প্যানেল তৈরি করে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো হচ্ছে বহু স্থানে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী দেশে বর্তমানে ১৯টি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প কাজ করছে। তবে সবগুলোই স্থলভূমিতে।

কিন্তু জলাশয়ে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করে অনেক দেশেই আরও বেশি পরিমাণে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। স্থলভূমির চেয়ে সমুদ্রে নির্মিত সোলার প্যানেল অনেক বেশি কার্যকরী। যে কারণে এসব প্রকল্প আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সৌরশক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পগুলো বেশি জনপ্রিয় ও প্রয়োজন হয় প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে। যেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ দুরূহ। যে কারণে বর্তমানে গ্রামীণ জনপদে ও দ্বীপরাষ্ট্রগুলোতে সোলার প্যানেল ব্যবহার বেশি দেখা যায়।

উদাহরণস্বরূপ ১০ হাজারের বেশি দ্বীপের একটি দেশ ইন্দোনেশিয়ায় দেশজুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ। দেশটিতে মাত্র ১০ লাখ মানুষ জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত। তাই সৌরশক্তি সেই দ্বীপগুলোকে শক্তি সরবরাহ করার একটি বিকল্প উপায়। গত কয়েক দশকে সোলার প্যানেল অনেকটা সস্তা হয়ে ওঠায় প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়েছে। আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা (আইইএ) বলছে, নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর জন্য সবচেয়ে সস্তা বিকল্প হয়ে উঠছে এই সৌরশক্তি।

কিন্তু সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের খামারগুলো প্রচুর জায়গা নেয়। ফলে চাষের জমি ও আবাসনের স্থানে এই খামার করা মুশকিল। তাই বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলীরা সমুদ্রের পৃষ্ঠে সৌর প্যানেল নির্মাণের কাজ করছেন, যা কাছাকাছি উপকূলে বসবাসকারীদের বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। তবে যেসব দেশ সমুদ্রতীরবর্তী নয়, সেখানে ভাসমান এই সোলার প্যানেল সমুদ্রের পরিবর্তে হৃদ, পুকুর বা অন্য জলাশয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে। বাড়ির ছাদের সোলার প্যানেলের চেয়ে জলাশয়ে তৈরি সোলার প্যানেল ৫ থেকে ১৫ শতাংশ বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখে বিদ্যুৎ উৎপাদনে, কারণ সমুদ্রের পানি।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় সোলার প্যানেল এখন সিঙ্গাপুরে এবং সেটি সমুদ্রে ভাসমান সোলার প্যানেল। দ্বীপরাষ্ট্রের ৫টি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের সমান বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম এ সোলার প্যানেল। ৪৫টি ফুটবল মাঠের সমান এ সোলার প্যানেল। জলবায়ু পরিবর্তন আর পরিবেশ দূষণ রোধে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার এ দেশটি বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যেই সৌরবিদ্যুতের উৎপাদন রেকর্ড পরিমাণে বাড়াবে সিঙ্গাপুরের সরকার।

নদ-নদী ও স্থলভাগের পরিমাণ কম হওয়ায় সিঙ্গাপুরে নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন কঠিন। সেখানে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নদী নেই। শক্তিশালী টার্বাইন ঘোরানোর জন্য বাতাসও অপ্রতুল। তাই গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দেশ হিসেবে সিঙ্গাপুরকে সৌরবিদ্যুতের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে। কিন্তু জমির স্বল্পতা বিষয়টি বেশ কঠিন করে তুলেছে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সমুদ্রে সোলার প্যানেল নির্মাণের পথ অবলম্বন করেছে কর্তৃপক্ষ।

সিঙ্গাপুরের উপকূল থেকে সাগরের দিকে তাকালে দেখা যাবে, রোদে ঝলমল করে হাজার হাজার সোলার প্যানেল। পশ্চিম সিঙ্গাপুরে অবস্থিত ৬০ মেগাওয়াট সোলার ফোটোভোল্টাইক ফার্মটি সেম্বকর্ণ ইন্ডাস্ট্রিজের তৈরি। নতুন এই ফার্মটি বছরে ৩২ কিলো টন কার্বন নিঃসরণ কমাতে ভূমিকা রাখবে। যেখানে রাস্তা থেকে ৭ হাজার গাড়ি তুলে নিলে কমবে এই একই পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ।

সমুদ্রের ওপর সূর্যের আলো একটি ভাসমান রিগ তৈরি করে। সমুদ্রের ঢেউ থাকায় প্যানেলগুলো একটি ভাসমান রিগ তৈরি করেছে, যেখানে সৌর প্যানেলগুলো একটি ভিত্তির ওপর অবস্থান নেয় যা সৌরতরঙ্গগুলো নিচে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নমনীয় হয়। একই সঙ্গে প্যানেলগুলো জলের কাছাকাছি থাকায় এদের সেলগুলো ঠাণ্ডা থাকে, যা তাদের কর্মক্ষমতা আরও উন্নত করে। এ ছাড়া ঝড় বা প্রচণ্ড বাতাস ছাড়া বেশির ভাগ সময়ই সমুদ্রের প্রবাহ মসৃণ থাকায়, উইন্ডমিল বা এর মতো বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রকল্প থেকে সমুদ্রে স্থাপিত সোলার প্যানেলের উৎপাদনের সময় ও ক্ষমতা বেশি।

সিঙ্গাপুরের উপকূলে ৪৫ হেক্টর বা ১১১ একর এলাকাজুড়ে সমুদ্রে ভাসমান ১০ লাখ ২২ হাজার সোলার প্যানেল থেকে নবায়নযোগ্য সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। সেখানে সোলার প্যানেলগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যেন এগুলো ২৫ বছর পর্যন্ত টেকসই থাকে। এ সোলার প্যানেল তত্ত্বাবধানে সার্বক্ষণিক থাকছে ড্রোন। বর্তমানে সিঙ্গাপুরে আরও চারটি ভাসমান সোলার প্যানেল তৈরির কাজ চলছে। সিঙ্গাপুরের তেনগেহ রিজার্ভারে সবচেয়ে বড় এ সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পটি অবস্থিত।

এখান থেকে সিঙ্গাপুরের পানি শোধনাগারের প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। এ ছাড়া সরকারের গ্রহণ করা পদক্ষেপের মধ্যে আছে, সৌরশক্তির ব্যবহার চার গুণ বাড়িয়ে ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের মোট শক্তির ২ শতাংশ সৌরবিদ্যুতের আওতায় আনা। পরের পাঁচ বছরে এ হার আরও এক শতাংশ বাড়ানো। এতে ২০৩০ সাল নাগাদ বছরে সাড়ে তিন লাখ বাড়িতে সৌরবিদ্যুৎ দিতে পারবে দেশটি।


আরও খবর

কমেছে রোলেক্স ও প্যাটেক ফিলিপ ঘড়ির দাম

বুধবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩




বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৯২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৫৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর