Logo
শিরোনাম

তৃতীয় বৃহৎ গাড়িবাজার হলেও ইভিতে পিছিয়ে ভারত

প্রকাশিত:সোমবার ২৩ জানুয়ারী 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩১ আগস্ট ২০২৩ | ৪২৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

গত বছর ৪০ লাখের বেশি চার চাকার গাড়ি বিক্রি হয়েছে ভারতে। এর মাধ্যমে জাপানকে পেছনে ফেলেছে দেশটি। সামনে যথাক্রমে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অবস্থান। তবে আট মাস আগেও এ চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। সে সময় উৎপাদন এবং বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছিল। বিরূপ অবস্থা কাটিয়ে পুনরায় চাঙ্গা হয়ে উঠেছে ভারতীয় অর্থনীতি। গাড়ি কেনায় ক্রেতাদের আগ্রহ বেড়েছে।

ভারতীয় গাড়ির বাজারের অধিকাংশ মোটর বাইকের দখলে। বড় যানবাহনের তুলনায় এগুলোর দাম কম। তবে উচ্চাকাঙ্ক্ষী ভারতীয়রা চার চাকার গাড়ির দিকে ঝুঁকছেন উল্লেখযোগ্য হারে। পাশাপাশি বৃদ্ধি পেয়েছে অধিকতর বড় স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকলের (এসইউভি) চাহিদা।

তবে বিদ্যুৎচালিত গাড়ির ব্যবসার দিক দিয়ে এখনো যথেষ্ট পিছিয়ে আছে ভারত। এক্ষেত্রে দেশটির সাফল্য কেবল দ্বিচক্রযানের মধ্যে সীমাবদ্ধ। সাম্প্রতিক বিবেচনায় মনে হচ্ছে, চার চাকা কিংবা বড় যানবাহনের ক্ষেত্রে এ সাফল্য প্রতিস্থাপিত হতে সময় লাগবে। এর অন্যতম কারণ হল দ্বিচক্রযানের ক্ষেত্রে প্রাপ্ত সুবিধা। এসব যানে পাওয়ারপ্যাক থাকে তুলনামূলক ছোট। সস্তায় ও সহজে তা রাস্তার পাশের অসংখ্য ব্যাটারি সোয়েপিং স্টেশন থেকে বদলে নেয়া যায়। চার্জ দেয়ার সুবিধাও পাওয়া যায় সর্বত্র। তাছাড়া বিদ্যুচ্চালিত মোটর বাইক সাশ্রয়ী। গ্যাসের কোনো ঝামেলা নেই। তাই গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মাথাব্যথাও নেই। পাশাপাশি এ খাতে সরকার প্রদত্ত ভর্তুকিও কার্যকর ভূমিকা পালন করছে।

সে তুলনায় বিদ্যুৎচালিত চার চাকার গাড়ি এবং বড় যানবাহনের খরচ বেশি এবং সুবিধা কম। চার্জ দেয়ার ব্যবস্থা অপ্রতুল। যদিও এ ধরনের যানবাহনে চার্জ দেয়ার জন্য উপযোগী চার্জিং স্টেশন নির্মাণের জন্য বিভিন্ন কোম্পানিকে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। যথেষ্ট চার্জিং স্টেশন এরই মধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু সমস্যা আরো আছে। দেশটির অনেক অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন নয়। তাছাড়া বড় ব্যাটারিগুলো চার্জ করতে উচ্চক্ষমতা এবং ভোল্টেজ প্রয়োজন হয়। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার দুশ্চিন্তা। তেমন কিছু হলে ভারতের বিভিন্ন স্থানের দূরত্ব এবং ভয়াবহ ট্রাফিক ব্যবস্থায় বড় গাড়ি নিয়ে বিপাকেই পড়তে হবে চালককে। ভারতের সাধারণ নাগরিকরা যতদিন বিদ্যুচ্চালিত গাড়িকে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক মনে না করবে, ততদিন এ খাতের সম্প্রসারণ দুরূহ। এরই মধ্যে উৎপাদন খরচও বেড়েছে। ব্যাটারি সরবরাহ কম ও অনিশ্চিত। ভারতে আমদানি করা পাওয়ারপ্যাকগুলোও নিম্নমানের।

এ চিত্র মোদি সরকারের পরিবেশবান্ধব কর্মসূচির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। নরেন্দ্র মোদির ডাকে সাড়া দিয়ে বিকল্প জ্বালানিচালিত যানবাহন নির্মাণে এগিয়ে এসেছে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো। এদের মধ্যে অশোক লেল্যান্ড লিমিটেড এবং টাটা মোটরস লিমিটেডের নাম উল্লেখযোগ্য। জ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেন, ইথানল, ফ্লেক্স ফুয়েলস, বিদ্যুৎ, সিএনজি ইত্যাদির ওপর জোর দিচ্ছে তারা।

এ সমস্যার বাস্তবসম্মত একটি সমাধান হতে পারে হাইব্রিড গাড়ি। কম ধোঁয়া নির্গমনের ক্ষেত্রে এগুলো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এতে ক্রেতাদের জন্য দুটি সুযোগই থাকে। চার্জ ফুরিয়ে গেলে তারা নির্দ্বিধায় জ্বালানি ব্যবহার করে গাড়ি চালিয়ে নিতে পারে। বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির তুলনায় হাইব্রিড গাড়ির ব্যাটারির আকার অনেক ছোট। তাই পাওয়ারপ্যাকের খরচও থাকে কম। ফলে এ গাড়িগুলো তুলনামূলক সস্তা ও কার্যকরী। পাশাপাশি যদি বড় ধরনের ভর্তুকি দেয়া হয়, তাহলে এ গাড়িগুলো ক্রেতাদের আকর্ষণে পরিণত হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনে তা এরই মধ্যে শুরু হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: ইভি

আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩