Logo
শিরোনাম

ভারতে প্রতি সাড়ে তিন মিনিটে সড়ক ঝরছে একপ্রাণ

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | ৭৪৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

প্রতি সাড়ে তিন মিনিটে ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নাগরিকের মৃত্যু হয়, এমন তথ্য দিচেছ দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান। একবছরে দেশটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায় দেড় লাখ মানুষ। তবে সেটি আরও বেশি হতে পারে অন্যান্য সংস্থার হিসাবমতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য বলছে, ভারতে বছরে তিন লাখ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে যা দ্বীপ রাষ্ট্র বার্বাডোসের জনসংখ্যার চেয়েও বেশি। তবে ভারতের বিশাল জনসংখ্যা বলে এতো বেশি দুর্ঘটনা, ব্যাপারটি এমন নয়।

চীনেরও জনসংখ্যা ভারতের মতোই কিন্তু দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে, সেখানে ৫৮ হাজার হতাহতের ঘটনা ঘটে প্রতিবছর। ডব্লিউএইচও-র সূত্র ধরে বিশ্ব ব্যাংক বলছে, প্রকৃতপক্ষে, ভারতে বিশ্বের নিবন্ধিত যানবাহনের মাত্র ১০ শতাংশ সড়ক দুর্ঘটনায় ২২ শতাংশ মৃত্যুর জন্য দায়ী। এটিকে নিত্যদিনের গণহত্যা বলা যায়, যেটি জনসম্মুখে ঘটে। এটা কোনো গোপন বিষয় নয় যে ভারতের রাস্তাগুলো চরম বিপর্যস্ত। চালকরা লেনের চিহ্ন উপেক্ষা করেন। ট্রাফিক লাইট নাম মাত্র কাজ করে। এমনকি পথচারীরাও দ্রুত রাস্তা পারাপার হন।

শুধু প্রাইভেট কার নয়, ওভারলোড করা লরি, অটোরিকশা, স্কুটার, এমনকি মোটরসাইকেল চলে একই সড়কে। ফলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির তৈরি হয়। অনেক শহরের রাস্তায় বিক্রেতারা রাস্তার অর্ধেক জায়গা দখল করে দোকান-পাট বসান। হাইওয়েতে রাস্তার ভুল দিকে গাড়ি চালানো অস্বাভাবিক কিছু নয়। এতেই ঘটে বিপত্তি। সড়কে বিশৃঙ্খলা একটি কাঠামোগত সমস্যাকে চিহ্নিত করে। গরীব দেশগুলোতে যানবাহনের সংখ্যা কম, যা খারাপ রাস্তায় ধীরে ধীরে চলে। ফলে জনসংখ্যার তুলনায় তুলনামূলকভাবে কম মৃত্যু হয় সেখানে, যদিও নিরাপত্তার মান কম হতে পারে।

দুর্ঘটনা কমাতে ধনী দেশগুলো নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনিক সক্ষমতা ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করতে পারে এবং কঠোর নিয়মের ব্যবস্থা করতে পারে। দ্রুত বর্ধনশীল দেশগুলোর প্রচুর যানবাহন ও কিছু ভাল রাস্তাঘাটও রয়েছে, কিন্তু নিরাপত্তার জন্য খুব বেশি অর্থ বিনিয়োগে মনোযোগ দেয় না। সেসব দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। নিরাপদ বিনিয়োগের সংকটের ক্ষেত্রে তিনটি প্রধান দিক রয়েছে। প্রথমটি হলো, রাস্তা ও গাড়ির মৌলিক অবকাঠামো। অনেক যানবাহন পুরোনো এবং সিটবেল্ট, অনেক কম এয়ারব্যাগের মতো প্রয়োজনীয় জিনিস রয়েছে। অনেক রাস্তার সঠিক চিহ্ন বা ক্র্যাশ ব্যারিয়ার নেই। পথচারীদের ট্র্যাফিক থেকে দূরে রাখার জন্য ফুটপাতগুলোও খুব কম ব্যবহার হয় এবং দখল হয়ে যায়।

আমেরিকার একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউটের মাধব পাই বলেছেন, মৌলিক সমস্যা হলো যে অনেক দরিদ্র দেশে রাস্তার নকশা ধনী বিশ্বের আদলে তৈরি করা হয়েছে, যেখানে গাড়ি এবং লরিগুলোই সড়ক দখলে রাখে। কিন্তু ভারতে মোটরসাইকেল ও স্কুটারের ব্যবহার ৭০ শতাংশ। এসব যানবাহন একটি গাড়ির তুলনায় ৩০ গুণ বেশি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ধ্বংস হতে পারে। তবুও ভারতীয় রাস্তাগুলো দুই চাকার গাড়ির জন্য আলাদা লেন নির্ধারণ করে না। দ্বিতীয় ব্যর্থতা হলো শিক্ষা বা প্রশিক্ষণ। ২০১৭ সালে পরিচালিত একটি সমীক্ষায় জানা যায়, প্রতি দশজন ভারতীয় চালকের মধ্যে ছয়জন তাদের লাইসেন্স পাওয়ার জন্য পরীক্ষা দেননি। অভিযোগ আছে, এর ফলে এখনো লাখ লাখ চালক ঘুষের মাধ্যমে কাগজপত্র পান। ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য পরীক্ষা প্রায়শই একটি হেঁয়ালিপনা সেখানে। আরও ভয়ানক বিষয় হলো ৩৭ শতাংশ ট্রাক চালক স্বীকার করে যে লাইসেন্স পাওয়ার আগে তাদের কোনো আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ ছিল না। তৃতীয় বড় ঘাটতি হলো স্বাস্থ্যসেবা। একটি দুর্ঘটনা ঘটলে, ধনী দেশের তুলনায় আহতদের মারা যাওয়ার শঙ্কা অনেক বেশি গরীব দেশগুলোতে। সরকারি অনুমান বলছে যে নিহতদের অর্ধেককে বাঁচানো যেত যদি তারা সময় মতো চিকিৎসা সহায়তা পেত। কিন্তু শহরের বাইরে জরুরি সেবার যথেষ্ট অভাব রয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালে ট্রমা রোগীদের জন্য শয্যার সংকট রয়েছে।

জনসংখ্যার সঙ্গে চিকিৎসকের অনুপাতে প্রতি এক হাজার জনে চিকিৎসক একজনেরও কম। যা প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কা এবং পাকিস্তান, এমনকি ধনী জার্মানি অথবা জাপানের চেয়েও কম ভারতের। দরিদ্র কর্মজীবী পুরুষরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। তাদের আহত হওয়ার শঙ্কা বেশি এবং তাদের স্বাস্থ্যবীমাও থাকে না। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা অবহেলার কারণে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে ব্যয় বিলও দরিদ্র পরিবারকে অসহায় অবস্থায় ঠেলে দেয়। ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাংক সড়ক দুর্ঘটনার বার্ষিক ব্যয় হিসাব করে ১৭২ বিলিয়ন ডলার যা সে সময় জিডিপির ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ছিল। ভারতের সরকার সমস্যার ভয়াবহতা সম্পর্কে অন্ধ নয়। ২০২০ সাল থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা অর্ধেক করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে দেশটি। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে জরিমানা গুণতে হবে এবং জেলে যেতে হবে। মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালানো, কম বয়সী কেউ গাড়ি চালালে বা সঠিক নম্বর প্লেট ছাড়াই গাড়ি চালালে অপরাধ বলে গণ্য হবে। হেলমেট ছাড়া স্কুটার বা মোটরসাইকেল চালালে তাদের লাইসেন্স স্থগিত করা হবে।

একটি ভালো সামেরিটান আইন যা নিশ্চিত করে যে পথচারীদের পুলিশ হয়রানি করবে না বা দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের সাহায্য করলে হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে বলা হবে না। দুর্ভাগ্যবশত, এখনো এটির কোনো ফলাফল নেই। সহায়তা প্রদানকারীদের জন্য নতুন সুরক্ষা প্রবর্তনের দুই বছর পর, একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, এই ধরনের প্রায় ৬০ শতাংশ লোক এখনো পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হয়। রাস্তাঘাট, স্বাস্থ্যসেবা এবং চালকদের শিক্ষার উন্নতি করতে এক প্রজন্ম লাগবে বলা চলে। কিন্তু এমন অনেক দ্রুত সমাধান রয়েছে যা অবিলম্বে মৃত্যু কমানো শুরু করতে পারে। এক দশক আগে তামিলনাড়ু, ভারতের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত একটি প্রদেশ সড়ক দুর্ঘটনার একটি ডাটাবেস তৈরি করেছিল। রাজ্য সরকার কর্তৃপক্ষকে সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থানগুলোর কাছাকাছি জরুরি সেবা কেন্দ্র স্থাপন করার অনুমতি দেয়। এই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য তারা। কেননা মহামারি শুরু হওয়ার আগে পাঁচ বছরে প্রদেশটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বার্ষিক মৃত্যুর এক চতুর্থাংশ কমেছে।

সুশীল-সমাজের বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগও কাজে লাগে। চাচাতো ভাই সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর পীযূষ তেওয়ারি নামে এক ব্যক্তি সেভলাইফ ফাউন্ডেশন শুরু করেছিলেন। সংগঠনটি দিল্লির রাস্তার সবচেয়ে বিপজ্জনক অংশ চিহ্নিত করে এবং কেনো দুর্ঘটনা ঘটছে সে সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ফাউন্ডেশন দ্বারা নিযুক্ত তদন্তকারীরা ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে এবং সিসিটিভি ফুটেজ পেতে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করে। চালকদের শিক্ষা, অবকাঠামো ও স্বাস্থ্য পরিচর্যায় উন্নতির জন্য সময় লাগতে পারে। কিন্তু সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোর দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করলে অনেক জীবন বাঁচতে পারে।


আরও খবর

রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন এরদোয়ান

মঙ্গলবার ২৯ আগস্ট ২০২৩




আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৭০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮২০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৩৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর