Logo
শিরোনাম

চার লেন হচ্ছে নওগাঁর প্রধান সড়ক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ মার্চ 2০২1 | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | ৩১৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image
নওগাঁর ঢাকা রোডের মোড় থেকে চৌমাশিয়ার (নওহাটা) মোড় পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কিলোমিটার সড়কটি ৪লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনার গ্রহন করেছে নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগ

তিলোত্তমা শহর নওগাঁ, ছোট যমুনা নদী বিভক্ত করেছে এই নওগাঁ শহরকে। মূলত ছোট যমুনা নদীকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে তিলোত্তমা এই শহর। আর শহরে চলাচলের জন্য একটি প্রধান সড়কই ভরসা। দিন যতই যাচ্ছে ততই নওগাঁ শহরে বসতি সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃদ্ধি পাচ্ছে ছোট ছোট যানবাহন কিন্তু সেই তুলনায় আধুনিকায়ন হচ্ছে না শহরের অভ্যন্তরের বড়-ছোট জনগুরুত্বপূর্ন সড়কগুলো। যার কারণে ছুটির দিন বাদে শহরের যে কোন রাস্তা কিংবা সড়কে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যানযান জট লেগেই থাকে। শহরকে এই যানজট মুক্ত করার লক্ষ্যে শহরের প্রধান সড়ক প্রসস্থ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগ।

১৮৭৭ সালে নওগাঁ মহকুমা গঠিত হয়। এরপর প্রায় ১০৭ বছর পর ১১টি উপজেলা নিয়ে ১৯৮৪ সালের ১মার্চ নওগাঁ জেলায় রুপান্তর হয়। নওগাঁ শহর থেকে ৫কিলোমিটার দূরে সান্তাহার রেল জংশন স্থাপন হলে তা মূলত ছিলো নওগাঁর জন সাধারণের চলাচলকে কেন্দ্র করে। সান্তাহারে রেল চলাচল শুরু হলে নওগাঁর গুরুত্ব আরো বেড়ে যায়। প্রয়োজন দেখা দেয় পাকা সড়কের। তখন রাজশাহী জেলা বোর্ডের উদ্যোগে সান্তাহার থেকে একটি প্রসস্থ সড়ক নির্মান করা হয় মহাদেবপুর পর্যন্ত। সড়কটি ছিল প্রথম দিকে সুরকী বিছানো সড়ক। অনেক পরে সড়কটি সান্তাহার থেকে নওগাঁর কাজীর মোড় পর্যন্ত কনক্রিট করা হয়। বিভিন্ন সময় ধীরে ধীরে সড়কটি তার রুপ পাল্টাতে থাকে। এরপর বর্তমান অবস্থায় এসে পৌঁছে। কিন্তু ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও যান চলাচল বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সড়কটি এখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

নিত্যদিন অসহনীয় যানজট আর ফুটপাত বিহীন সড়কটি নওগাঁ শহরবাসীর জন্য আগে ছিল বিড়ম্বনার এখন তা হয়ে উঠেছে গলার কাটা। শত শত সিএনজি চালিত থ্রি হুইলার, ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক, বউ সোহাগী, রিক্সা, মটর সাইকেল, বাস, ট্রাকসহ নানান যানবাহনের জটে শহরটি যেনো দিন দিন মরন ফাঁদে পরিণত হচ্ছে। ছোট বড় দূর্ঘটনা এখন প্রতিদিনের বিষয়। স্কুল কলেজগামী শিক্ষার্থী ও পথচারীরা হয়ে পড়েছে ওই যানজটের অন্যতম শিকার। এই দূর্ভোগ থেকে উত্তরনের একমাত্র উপায় হচ্ছে সড়ক প্রসস্থকরন।

বহুবছর ও বহু কাটখড় পোড়ানোর পর নওগাঁর মানুষের দীর্ঘদিনের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান সড়কটি দুই লেন করা হলেও তা মূল শহরের কিছু ব্যক্তি মালিকানার স্থাপনার কারণে দুই লেনের জন্য যে জায়গার প্রয়োজন তাও করা সম্ভব হয়নি। এবার নওগাঁবাসীর জন্য সুখবর বয়ে আনছে নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগ। নওগাঁর ঢাকা রোডের মোড় থেকে চৌমাশিয়ার (নওহাটা) মোড় পর্যন্ত সাড়ে ১৬ কিলোমিটার সড়কটি ৪লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনার গ্রহন করেছে নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগ। সড়কের প্রয়োজনে নির্মাণ করা হবে, ব্রীজ, কালর্ভাট, ড্রেন, ফুটপাত ও রোড ডিভাইডারসহ নানান অবকাঠামো। মোট ১০০ ফুট প্রসস্থ হবে বর্তমান সড়কটি। আগামী ১মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত ডিপিপি সাবমিট করা হবে বলে সওজ অফিস সূত্রে জনা গেছে।

অপরদিকে শহরের মধ্যে ছোট যমুনা নদীর উপরের লিটন সেতুটি ২লেনের। বর্তমান লিটন সেতুটি ব্যাপক সংস্কারের আওতায় আনা হবে। এই সেতুর আদলে পাশে আরেকটি নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে। একই ভাবে শহরের অপর তুলশী গঙ্গা নদীর উপর ২লেনের যে সেতুটি আছে তার পাশে আরো একটি ২লেনের সেতু নির্মান করা হবে। সড়কটি চার লেনে উন্নীত করতে গিয়ে সড়কের দু’ধারে ব্যক্তি মালিকানাধীন যে জমি ও অবকাঠামো অধিগ্রহন করা হবে তারা জমির মূল্যবাবদ ৩গুণ ও অবকাঠামোর জন্য ২গুন অর্থ পাবেন।

নওগাঁ সওজ সূত্রে জনা গেছে, নওগাঁ সদর আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দীন জলিল জন ও নওগাঁ-৪ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনের সংসদ সদস্য ছলিম উদ্দীন তরফদার সেলিম নওগাঁ সড়ক বিভাগকে গত বছর নভেম্বর মাসের দিকে সড়ক প্রসস্থকরণ বিষয়ে একটি ডিও লেটার দেন। এই বিষয়ে একই মতামত ব্যক্ত করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি। এরপর সড়ক বিভাগ ডিপিপি প্রস্তুতির কাজে হাত দেয়। ডিপিপির কাজ শেষ হয়েছে এবং আগামী ১মাসের মধ্যে তা সাবমিট করা হবে। এতে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৯শ কেটি টাকা।

নওগাঁ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান সাজিদ জানান, এই বিষয়ে সাংসদ মহোদয়গনের কাছ থেকে ডিও লেটার পাওয়ার পর একটি প্রাথমিক পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে। নওগাঁর পশ্চিম ঢাকা রোড (বাইপাস মোড়) থেকে মহাদেবপুর উপজেলার চৌমাশিয়া মোড় পর্যন্ত সাড়ে ১৬কিলোমিটার সড়কটি ৪ লেনে উন্নীত করার প্রাথমিক পরিকল্পনার কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আগামী ১মাসের মধ্যে সরকারের সড়ক বিভাগের দপ্তরে ডিপিপি সাবমিট করা হবে। সড়ক প্রসস্থ করতে গিয়ে আর যা যা করার প্রয়োজন তার সব কিছুই করা হবে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর