Logo
শিরোনাম

চিকিৎসককে হত্যা: পিরোজপুরের এমদাদসহ ৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ আগস্ট ২০২১ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | ১৭০৬০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image
পুলিশ জনির অবস্থান সম্পর্কে জানাতে পারেনি। বিষয়টি সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, ক্ষমতাসীন দলের নেতা, মানবাধিকার কর্মী, জেলা প্রশাসক ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরার পারকুকরালি এলাকার হোমিও চিকিৎসক মোখলেছুর রহমান জনি সদর থানার লকআপ থেকে নিখোঁজের পাঁচ বছরেও সন্ধান মেলেনি। এ ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশে গত মঙ্গলবার তার বাবা শেখ আব্দুর রাশেদ বাদী হয়ে ছেলেকে অপহরণের পর খুন করে লাশ গুমের অভিযোগ এনে সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় সাতক্ষীরা সদর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক শেখ, এরপর বদলি হয়ে আসা ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লা ও উপপরিদর্শক (এসআই) হিমেল হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।

এমদাদুল হক শেখের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর পৌর শহরের নামাজপুর এলাকায়। মৃত আব্দুল আজিজ শেখের ছেলে এবং পিরোজপুর জেলা পরিষদ এর সদস্য সুমন শেখের চাচা। এমদাদুল হক শেখ এর আগে বগুড়া, যশোর, মৌলভীবাজার সদর থানা ও সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানায় কর্মরত থাকাকালীন বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একাধিক বিভাগীয় মামলা হয়েছে। বর্তমানে রাঙামাটি ডিবি পুলিশের ওসি হিসেবে কর্মরত আছে।

মামলা ও ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে অসুস্থ বাবার জন্য বাইসাইকেলে ওষুধ কিনতে গিয়ে সাতক্ষীরা শহরের লাবনী সিনেমা হলের সামনের একটি দোকান থেকে সদর থানার এসআই হিমেল শহরের পারকুকরালির মোখলেছুর রহমান জনিকে ধরে থানায় নিয়ে যায়।

এরপর টানা তিন দিন ৫, ৬ ও ৭ আগস্ট স্ত্রী জেসমিন নাহার রেশমা তার শ্বশুর ও স্বজনদের নিয়ে লকআপে তাকে খাবার দিয়ে এসেছিলেন। স্ত্রীর সঙ্গে কথাও বলেছিলেন এ চিকিৎসক। ওসি এমদাদুল হক শেখ ও এসআই হিমেলের সঙ্গে কথা বললে জনির জঙ্গি সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানানো হয়। স্বামীর মুক্তির বিনিময়ে তৎকালীন ওসি ও এসআই জনির স্ত্রী রেশমার কাছে দাবি করেন মোটা অঙ্কের টাকা।

তবে ৮ আগস্ট থানায় গেলে জনিকে পাওয়া যায়নি। পুলিশ জনির অবস্থান সম্পর্কে জানাতে পারেনি। বিষয়টি সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, ক্ষমতাসীন দলের নেতা, মানবাধিকার কর্মী, জেলা প্রশাসক ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়। ওই বছরের ২৪ আগস্ট বিষয়টি জানানো হয় সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারকে (এসপি)। ২৬ ডিসেম্বর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে থানার ওসি ফিরোজ হোসেন মোল্লা তা গ্রহণ করেননি।

উপায় না দেখে ২০১৭ সালের ৩ জানুয়ারি সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন রেশমা। ২১ জানুয়ারি আইন ও শালিস কেন্দ্রের তদন্তকারী টিমের সদস্য অনির্বান সাহা, মানবাধিকার কর্মী রঘুনাথ খাসহ কয়েকজন জনির বাড়িতে আসেন ও পরে থানায় যান। যা পরদিন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

২০১৭ সালের ২ মার্চ হাইকোর্টে রিট পিটিশন (২৮৩৩/১৭) দাখিল করেন রেশমা। মামলায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আটজনকে বিবাদী করা হয়। আদালতের নির্দেশে ২০১৭ সালের ১৯ মার্চ আদালতে উপস্থাপন করা এসপির ব্যাখ্যায় বলা হয়, নিখোঁজ মোখলেছুর রহমান নিষিদ্ধ সংগঠন আল্লাহর দলর সঙ্গে যুক্ত এবং তাকে গ্রেফতার করা হয়নি।

১৯ মার্চ শুনানি শেষে আদালত জনিকে ১২ এপ্রিলের মধ্যে বিচারিক আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে ৯ মে এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ঢাকা লিগ্যাল সেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এএসএম জাভিদ হাসানকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী ১০ জন পুলিশ কর্মকর্তা-সদস্য ও পাঁচজন সাধারণ মানুষের জবানবন্দি নিয়ে মোখলেছুর রহমান জনিকে ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট আটক করেনি বা তাকে কেউ থানার মধ্যে দেখেনি মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

পরে আদালতের নির্দেশে ২০১৭ সালের ৩ জুলাই সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম হাবিবুল্লাহ মাহমুদ হাইকোর্টে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে থানা লকআপ থেকে ডা. জনির নিখোঁজ হওয়ার সত্যতা উঠে আসে। পরবর্তী সময়ে এক আদেশে ওই বছরের ৩ অক্টোবরের মধ্যে এ সম্পর্কিত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেওয়া হয়।

পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদনে ডা. জনিকে থানায় এনে আটক রাখার সত্যতা মেলেনি বলে উল্লেখ করা হয়। ২০১৮ সালের ২৪ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা শেষে হাইকোর্ট জনি নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি নিয়ে তার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য থানা ওসি এমদাদুল হক শেখ, ফিরোজ হোসেন মোল্লা ও এসআই হিমেল হোসেনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা গ্রহণ একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা যেতে পারে বলে এক আদেশে উল্লেখ করেন।

সে অনুযায়ী আইন ও শালিস কেন্দ্রের সহযোগিতায় জেসমিন নাহার রেশমা আদালতে মামলা করার প্রস্তুতি নিলে শেষ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট আইনজীবী অপারগতা প্রকাশ করায় আর মামলা করা হয়নি। এর কয়েক মাস পর জেসমিনের অন্যত্র বিয়ে হওয়ায় হাইকোর্টে বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খন্দকার দিলিরুজ্জামানের আদালতে হাজির হয়ে ২৮৩৩/১৭ নং রিট পিটিশনে জনির বাবা শেখ আব্দুর রাশেদ নিজেকে বাদী শ্রেণিভুক্ত হওয়ার আবেদন করেন।

আদালত তা মঞ্জুর করলে শেখ আব্দুর রাশেদ মামলা করার জন্য সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির তৎকালীন সভাপতি অ্যাড. এম শাহ আলম ও সাতক্ষীরা আদালতের লিগ্যাল এইডের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক সালমা আক্তারের শরণাপন্ন হন। এরপরও কোনও আইনজীবী না পাওয়ায় তিনি মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অ্যাড. সুলতানা কামালের দ্বারস্থ হন।

এক পর্যায়ে তারই সহায়তায় সাতক্ষীরার জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাড. মোসলেম উদ্দিন ও অ্যাড. মো. ফরহাদ হোসেনের মাধ্যমে গত মঙ্গলবার সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর এসআই হিমেলের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় বিভাগীয় মামলা (৬/১৮) দায়ের করা হয়। এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইলতুৎ মিশের কাছে ও ২২ নভেম্বর খুলনার সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল কাদের বেগের কাছে জেসমিন নাহার রেশমা, তার শ্বশুর শেখ আব্দুর রাশেদ, শাশুড়ি আনোয়ারা খাতুন সাক্ষী দেন।

একইভাবে ২৮ নভেম্বর মানবাধিকার কর্মী রঘুনাথ খাঁ ও তিন পুলিশ সদস্যের সাক্ষী গ্রহণ করা হয়। একই ঘটনায় ১৬/২০ ও ১৭/২০ বিভাগীয় মামলা হয় তৎকালীন ওসি এমদাদ শেখ ও ফিরোজ হোসেন মোল্লার বিরুদ্ধে। খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ ২০২০ সালের ২১ সেপ্টেম্বর থেকে কয়েক দফায় সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শকের কার্যালয়ে ও খুলনা নিজ কার্যালয়ে নিখোঁজ জনির বাবা, মা, বোন, চাচা, মানবাধিকার কর্মী রঘুনাথ খাঁ, সিপাহী ফসিয়ার রহমান, সিপাহী ইলিয়াস হোসেন, সিপাহী মহিদুল ইসলাম ও এসআই রইচউদ্দিনসহ ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মোসলেম উদ্দিন ও অ্যাড. ফরহাদ হোসেন বলেন, আজ বুধবার আদালত এ মামলার আদেশ দেবেন।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৪০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৩০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর