Logo
শিরোনাম

একাধিক বাঁধে ফাটল, ঘুম নেই হাওরবাসীর

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | ১১১৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:

রাত সাড়ে ১২টা। তাহিরপুরের নজরখালি বাঁধের পাশে বসে আছেন শাহেদ আলী, নিবারণসহ ছয় কৃষক। ঘুম নেই কারো চোখে। কখন জানি স্বপ্নের সোনালী ফসল তলিয়ে যায়। ভেঙে যাওয়া বাঁধ এর আগে কোনো রকমে মেরামত করার চেষ্টা চালানো হয়েছে। তবুও আশঙ্কা! এ অবস্থা শুধু তাহিরপুরের নিবারণ কিংবা শাহেদের নয়। সুনামগঞ্জ জেলার অধিকাংশ বাঁধে ফাটল দেখা দেওয়ায় এভাবেই রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন কৃষকরা।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি ও অতিবৃষ্টির ফলে নজরখালি বাঁধ ভেঙে টাংগুয়ার হাওরের ফসল তলিয়ে গেছে। এরপর শনির হাওর, মাটিয়ান হাওর, ভরাম হাওর, টাংনীর হাওরসহ বিভিন্ন হাওরের বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। সব হাওর কমবেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এরই মধ্যে বাড়ছে নদ-নদীর পানিও। বাঁধের ফাটল দ্রুত বন্ধ করা না হলে হাওরের ফসল যেকোনো সময় তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ অবস্থায় সুনামগঞ্জের কৃষকরা তাদের একমাত্র ইরি-বোরো ফসল নিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

জেলার বাঁধ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন, মেঘালয় থেকে পানি নেমে আসায় নদ-নদীর পানি বেড়েছে। নজরখালি বাঁধ ভেঙে হাওরে পানি ঢুকেছে। অন্য হাওরগুলো এখনো ভালো আছে। জেলার সব ইউএনওকে হাওরের বাঁধের প্রতি সার্বক্ষণিক নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেসব বাঁধে এরই মধ্যে ফাটল দেখা দিয়েছে, সেগুলো দ্রুত ভরাট করে বাঁধকে শক্তিশালী করা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (২ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাংগুয়ার হাওরের নজরখালি বাঁধ ভেঙে হাওরের প্রায় ১০০ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে যায়। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, নজরখালি বাঁধটি ফসল রক্ষার বাঁধ নয়। সেখানকার গ্রামবাসীর অনুরোধে বাঁধটি নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছিল। ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত বাঁধটি নদীতে পানির তীব্রতার আগেই ভেঙে যাওয়ায় কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। বাঁধটি ভেঙে যাওয়ার ফলে টাংগুয়ার হাওরসহ সংলগ্ন কয়েকটি ছোট ছোট হাওরের অন্তত ৪ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রায়হান কবির জানান, পানি প্রবেশ করায় নদীর পানির চাপ কমবে। অন্য হাওরের দিকে আর যাবে না। মাটিয়ান হাওর, শনির হাওরসহ সবকটি বাঁধের দিকে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে। ফসল রক্ষার জন্যে তারা দিনরাত কাজ করছেন।

দিরাই উপজেলার সর্ববৃহৎ ভরাম হাওরের তুফানখালী বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। কেবল ফাটলই নয়, বাঁধের কিছু অংশ দেবে গেছে। রবিবার (৩ এপ্রিল) উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা বাঁধটি পরিদর্শন করেন। বাঁধের ফাটল সংস্কারে কাজও শুরু হয়েছে। তুফানখালি বাঁধটি সবচেয়ে বেশি আলোচিত। বাঁধটি কয়েকবার ভেঙে ভরাম হাওরে পানি ঢুকেছিল বলে স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন। একই উপজেলার কুলঞ্জ ইউনিয়নের টাংগুয়ার হাওর উপপ্রকল্পের মিলনগঞ্জ বাজারের অদূরে বাঁধটির একটি অংশে ধস দেখা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাঁধের ধসে পড়া জায়গার ছবি ছড়িয়ে পড়েছে।

দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুর রহমান মামুন জানান, পাউবোর ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলীরা বাঁধটি সরেজমিনে এসে দেখে গেছেন। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী হেমারিং করা হচ্ছে। পিআইসির প্রতি ভরসা না করে বাঁধ রক্ষায় আমরা নিজেরাই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি। এ ছাড়াও জায়গামতো বাঁধ নির্মাণ না করায় শাল্লা উপজেলার ছায়ার হাওরের কোনারবন্দ, জুয়ারিয়া, কৈয়ারবন্দ ও পুটিয়ারবন্দের প্রায় ৯০০ একর জমির ফসল অকাল বন্যার ঝুঁকিতে পড়েছে। ওইসব ছোট ছোট হাওরে উপজেলার রঘুনাথপুর, ঘুঙ্গিয়ারগাঁও, সুখলাইন, কলাকান্দি, কান্দিখলা, ডুমরা, উজান ও ভাটি যাত্রাপুরের প্রায় ৪ হাজার কৃষক জমি চাষ করেছেন। ওই এলাকার জমির ফসল রক্ষায় দাড়াইন নদীর তীরবর্তী রঘুনাথপুর সারিগাছা ও কৈয়াবন্দ ভাঙনে ২ বছর আগেও পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ নির্মাণ করেছিল। কিন্তু গেল ২ বছর এ ভাঙনের জন্য কোনো প্রকল্প গ্রহণ করেনি পাউবো। পাউবোর খামখেয়ালিপনায় ওই এলাকার ফসল নিয়ে কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী, ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বাঁধের কাজ শতভাগ সম্পন্নের কথা ছিল। কিন্তু শতভাগ কাজ শেষ না হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের পর আরও ১০ দিন বাড়িয়েও কোনো কাজ হয়নি। বাঁধের কাজের টাকা দিতে প্রায় একমাস দেরি করে পাউবো। টাকা দেরিতে দেওয়ায় কাজও অনেক দেরিতে সম্পন্ন হয়েছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। এর ফলে অনেক বাঁধ এখনো দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। সময় মতো টাকা দেওয়া সম্ভব হলে গেল বছরের মতো এবারও বাঁধ শক্ত হতো বলে একাধিক পিআইসির লোকজন জানান।

পাউবোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে জেলার বৃহৎ ৩৬টিসহ মোট ১৫৪টি হাওরের ফসল রক্ষায় ৫২০ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ ও সংস্কার করছে পাউবো। ৭২২টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি বা পিআইসির মাধ্যমে জেলার ১১টি উপজেলায় বাঁধের কাজ শুরু হয়। এজন্যে প্রাথমিকভাবে বরাদ্দ চাওয়া হয় ১২২ কোটি টাকা।


আরও খবর



আজ ঈদ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৯৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রোজা শেষে আবারও এলো ঈদ। খুশির বার্তা নিয়ে ঈদের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে দেশজুড়ে। বাংলাদেশের আকাশে মঙ্গলবার শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় এবার ৩০ রোজা পূর্ণ হলো। এক মাস সিয়াম সাধনার পর আজ উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেনে দেশবাসী।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিম উম্মাহর প্রতি নিয়ামত হিসেবে ঈদ দান করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মদিনায় আগমন করলেন তখন মদিনাবাসীদের দুটো দিবস ছিল যে দিবসে তারা খেলাধুলা করতো। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, এ দুদিনের কী তাৎপর্য আছে? মদিনাবাসী উত্তর দিলেন, আমরা জাহেলি যুগে এ দুই দিনে খেলাধুলা করতাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এ দুই দিনের পরিবর্তে তোমাদের এর চেয়ে শ্রেষ্ঠ দুটো দিন দিয়েছেন। তা হলো ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতর। (সুনানে আবু দাউদ: ১১৩৪)

ঈদের দিনের শুরু হয় ঈদের নামাজের মধ্য দিয়ে।ঈদের দিন সকালে পুরুষদের জন্য ঈদের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব। বিশেষ পদ্ধতিতে অতিরিক্ত তাকবিরসহ জামাতে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা এবং তারপর ঈদের খুতবা দেওয়া ও শ্রবণ করা। ঈদের নামাজ খোলা ময়দানে আদায় করা উত্তম। 

ঈদুল ফিতরের দিন দেশের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। আবহাওয়া খারাপ হলে জাতীয় ঈদগাহে সম্ভব না হলে বায়তুল মোকাররমে জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল ফিতরে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে ৫টি ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়।  তৃতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।  চতুর্থ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন  সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

এবার পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষে সরকারি কর্মচারীদের ছুটি শুরু হয়েছে ১০ এপ্রিল। অফিস খুলবে ১৫ এপ্রিল। তবে অনেকেই ৮ ও ৯ এপ্রিল দুদিনের ছুটি নিয়ে ঈদের ছুটি কাটাচ্ছেন টানা ১০ দিন। লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রায় ভোগান্তি হয়েছে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সময় নিয়ে নিজের শেকড়ে ফিরতে পেরেছেন।

কর্মব্যস্ত এই নগরীর সবাই যখন ঈদ উদযাপনে ঢাকা ছেড়েছেন তখন এই ঢাকা হয়ে উঠেছে এক অন্য শহর। বদলে গেছে রাজধানীর চিত্র, নেই চিরচেনা রূপ। এখন আর ঢাকার সড়কে ঘণ্টা পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় না। মুহূর্তেই চলে যাওয়া যাচ্ছে শহরের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

এদিকে দেশের সবার জন্য সুখী, আনন্দময় ও নিরাপদ ঈদুল ফিতরের কামনা করে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, একমাস সিয়াম সাধনার পর আবার আমাদের মধ্যে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর এসেছে। ঈদ মানে আনন্দ। আসুন আমরা আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীসহ সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি।

রাজনৈতিক নেতাদের অধিকাংশই নিজ এলাকায় ঈদ উদযাপন করবেন এবার। কেউ কেউ ঢাকায় ঈদ করবেন, আবার কেউ নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। সব মিলিয়ে  নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন তারা, যোগ দেবেন সামাজিক অনুষ্ঠানেও।


আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

রাজধানীর হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদ জামাত শুরু হয়।

ঈদের প্রধান জামাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিকসহ অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের লাখো মুসল্লি।

ঈদের প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন। দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ শেষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি উপস্থিত সবার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সিটি কর্পোরেশন থেকে জানানো হয়, এবার জাতীয় ঈদগাহের ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায়ের ব্যবস্থা করা হয়। ছিল ঈদগাহে নারীদের জন্যও আলাদা নামাজের ব্যবস্থা।

এদিকে জাতীয় ঈদগাহ ছাড়াও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট পাঁচটি জামাত আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে।  ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, বায়তুল মোকাররমে সকাল ৭, ৮, ৯ ও ১০ ও ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাত হবে।


আরও খবর



বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬৫জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৭টায় এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় নামে।

প্রথম জামায়াতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মো. মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন ক্বারী মো. ইসহাক।

জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই বিভিন্ন প্রান্তের মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। নামাজের সময়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। নামাজের পর একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

জাতীয় মসজিদে বেলা ১১টা পর্যন্ত ঈদের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের মোয়াজ্জিন (অব.) হাফেজ মো. আতাউর রহমান।

তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন আজিমপুর কবরস্থান মেয়র হানিফ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান বিন নূরউদ্দীন। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আব্দুল হাদী।

চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির ড. মো. আবু ছালেহ পাটোয়ারী। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল পৌনে ১১টায়। ইমামতি করবেন মিরপুর জামেয়া আরাবিয়া আশরাফিয়া ও এতিমখানার মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহীদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. রুহুল আমিন।

৫টি জামাতে কোন ইমাম অনুপস্থিত থাকলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ভাষা শিক্ষক মাওলানা মোহাম্মদ নূর উদ্দীন বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।


আরও খবর