Logo
শিরোনাম

জন্মপরিচয় নিয়ে শিক্ষকের প্রশ্নে ছাত্রের আত্মহত্যার চেষ্টা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | ৯১০জন দেখেছেন
নিউজ পোস্ট ডেস্ক

Image

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস প্রতিনিধি শামীম সিদ্দিকীকে জন্ম পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলার অভিযোগ উঠেছে একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ মেহেদি হাসানের বিরুদ্ধে। ওই ছাত্র পরে ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তিনি এখন হাসপাতালে। এ ঘটনার ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের বহিষ্কার চেয়ে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে প্রশাসনিক ভবনের নিচে আন্দোলন করেছে। 

জন্মপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলার অভিযোগ জানিয়ে বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় ফেইসবুক লাইভে এসে ঘটনার ব্যাখ্যা করে ২০ টি ঘুমের ঔষধ খায় সেই শিক্ষার্থী। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা ত্রিশালের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় শিক্ষার্থীর অবস্থা দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক শামীমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে।

ঘটনার খবর পেয়ে ত্রিশাল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্র পরামর্শক ড. তপন কুমার সরকার, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা ও সিকিউরিটি অফিসার।

এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক ড. শেখ মেহেদি হাসান জানান, এটা চংক্রান্ত।এমন কিছু আমি করিনি।

বিভাগটির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হুদা বলেন, আগে শিক্ষার্থীকে সুস্থ করে তুলি পরে অন্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া যাবে।

আত্মহত্যা চেষ্টা এবং শিক্ষকের এমন কর্মকান্ডের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন, প্রথমে আমরা আমাদের শিক্ষার্থীর চিকিৎসা নিশ্চিত করে সুস্থ করে তুলি।এরপর এর বিষয়ে শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শিক্ষক হওয়ার জন্যে যথেষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা না রেখে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার অভিযোগও রয়েছে ড. শেখ মেহেদি হাসানের বিরুদ্ধে।

লাইভে এসে শিক্ষার্থীর অভিযোগ করে বলেন, তার বাবা কি করেন, পদ কি। বয়স কতো। আর সর্বশেষে তার জন্মের পরিচয় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এমনকি ছাত্র রাজনীতি করে এই বিভাগে লাভ হবে না বলেও মন্তব্য করার অভিযোগ এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এর আগে আইন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও অপমান করে কথা বলার অভিযোগ রয়েছে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফাতেমা আক্তার বলেন, আমরা প্রাথমিক সেবা দিয়েছি। ডেঞ্জারাস অবস্থা থেকে অবজারভেশনে রাখার জন্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণের জন্যে আমরা বলেছি। 


আরও খবর