নেত্রকোনার
মদনে স্কুল শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধী
টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ায় সময় ৮ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে একসঙ্গে চার ডোজ টিকা দেওয়া
হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শিশুটি তাৎক্ষণিক তার মায়ের কাছে বিষয়টি খুলে বলায় তিনি হাসপাতালের
মেডিকেল অফিসারের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। পরে শিশুটিকে হাসপাতালে পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছে।
শনিবার মদন
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী
ওই শিক্ষাথীর্র নাম আবিদা বিনতে আজিজ। সে মদন
পৌরসভার মাহমুদপুর গ্রামের আজিজুল হকের মেয়ে ও মদন শহীদ স্বরণিকা পাইলট বালিকা উচ্চ
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থী
আবিদা বিনতে আজিজ জানায়, সকালে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে সে মদন
স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যায়। কাগজপত্র নার্সদের কাছে দিলে তারা তাকে একটি চেয়ারে বসান।
পরে এক নার্স এসে আবিদাকে পর পর চার ডোজ টিকা দেন। পরে সে বিষয়টি তার মাকে খুলে বলে। তখন আবিদার মা চিকিৎসককে বিষয়টি জানালে ডাক্তার
তাকে হাসপাতালের বেডে পর্যবেক্ষণে রাখে।
শিশুটির মা
রাজিয়া সুলতানা বলেন,টিকা দেওয়ার সময় আমি বাইরে অপেক্ষা করছিলাম। মেয়ে টিকা দিয়ে বের
হয়ে জানায় তাকে চার বার টিকা দেয়া হয়েছে । আমি বিষয়টি ডাক্তারকে বলেছি। তিনি আরও বলেন,
এ ঘটনায় মেয়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ছে। তাকে ডাক্তার হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
যে নার্স আমার মেয়েকে চারটি টিকা দিয়েছে তার শাস্তি দাবি করছি।
মদন স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্স এর মেডিকেল অফিসার ডা. রিফাত সাইদ জানান,মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শিশুটিকে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে
রাখা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা ভালো।
উপজেলা স্বাস্থ্য
ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাক্তার হুমায়ুন কবির বলেন,একটি শিশুকে চারবার টিকা দেওয়া কোনভাবেই
সম্ভব নয়। শিশুটিকে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তবে কোন নার্স টিকা দিয়েছে শিশুটি
বলতে পারছে না।